এন্ড্রয়েড মোবাইলের বেসিক সকল সমস্যার সমাধান !!!

 

১। আমার এন্ড্রয়েড ফোন কোন কাজ করছে না



আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটি রি-স্টার্ট করুন। এতে আপনার ফ্রিজ হয়ে যাওয়া ফোন ঠিক হতে পারে।

অ্যান্ড্রয়েড রুট কি : রুট করার সুবিধা এবং অসুবিধা

এখানে আমরা আলোচনা করবো “অ্যান্ড্রয়েড রুট  কি : রুট করার সুবিধা এবং অসুবিধা?” এবং রুটিং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ কি । কেন আপনি রুটিং ফোন ব্যবহার করবেন আর কেনই বা করবেন না । এই সম্পর্কিত আলোচনা থাকবে এখানে ।

অ্যান্ড্রয়েড রুটিং কিঃ   



অ্যান্ড্রয়েড রুট একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গ্রাহক সম্পূর্ণ ভাবে তার ফোনটি কন্ট্রোল করতে পাড়বে।

আপনি  ডিভাইসটি নিজের ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে পারবে ।

 রুটিং মানে হচ্ছে স্পেশাল একটি সুবিধা গ্রাহকের জন্য । এটি ফোনের এক রকম সকল প্রোগ্রামকে কন্ট্রোল করে । এটি ফোনের টোটাল উইন্ডজটিকে কন্ট্রোল করে ।

রুট করার পর কি করবেন

রুট করার পর কি করবেন? আপনি আপনার পছন্দের মোড’স, কারনেল, কাস্টম রম ইন্সটল করতে পারবেন।   আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েড এর লেটেস্ট ভার্সন ইন্সটল করতে পারবেন  ললিপপ আপডেট  (যেমন অ্যান্ড্রয়েড এর ৬.০.১ মার্শম্যালো)।

রুট করার সুবিধা

 আপনি আপনার ফোনের ভাল পারফরমেন্স এর জন্য সিপিএউ এবং জিপিএউ অভারলক করতে পারবেন। রুট করার সুবিধা এর ফলে আপনি যেকোনো ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার পছন্দমত ফোনটি আপডেট করতে পারবেন ।

 আপনার ফোনের ব্যাটারি লাইফ এর জন্য আপনি সিপিইউ অভারলক করে রাখতে পারবেন। এর জন্য আপনি আপনার ফোনের ব্যাকআপ, রেস্টর অথবা বিচ আপ্লিকেশনগুলো আলাদা ভাবে রি-ইন্সটল করে রাখতে পারবেন।

মোট কথা, এর ফলে আপনি আপনার ইচ্ছে মত প্রয়োজনীয় ডিভাইস গুলো ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবেন ।

জেলব্রেক থেকে রুটিং এর ভিন্নতা



অনেকেই রুটিং এবং জেলব্রেক একই ব্যাপার ভেবে প্রতারিত হন । কিন্তু সত্যিকার অর্থে জেলব্রেক এবং রুটিং দুইটি ভিন্ন ব্যাপার। দুইটির কনসেপ্ট দুই ধরনের ।

জেলব্রেক আসলে অ্যাপেল এর জন্য প্রযোজ্য। এই মডেলের মধ্যে জেলব্রেক অপারেটিং সিস্টেম মডিফাইং করতে পারে (ইনফরসড বাই “লকড বুটলোডার”)।

এটি গ্রাহককে অ-অনুমদিত এপ্লিকেশন সমূহ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে থাকে । এই সুবিধা  সমূহ কিছু কিছু মডেলের অ্যান্ড্রয়েড এর মধ্যে থাকে । যেমনঃ সনি, আসুস এবং গুগল এই টাইপ এর মডেলের অ্যান্ড্রয়েড এর মধ্যে এই সুবিধা টি রয়েছে ।

এদের আর একটি বিশেষ গুন হচ্ছে এই মডেলের অ্যান্ড্রয়েড গুলো তাদের ডিভাইস গুলো আনলক করতে পারে এমনকি স্থানান্তরিত করতে পারে ।

রুট করার পর কি করবেন: রুট করার পর করনীয়

আপনার ফোনের কারেন্ট রমের একটি ব্যাকআপ তৈরি করা। ব্যাকআপ নেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে যেকোন একটি কাস্টম রিকভারি ইন্সটল করা।

সংক্ষেপে রিকভারি হচ্ছে ফোনের একটা বুট-মোড যেখান থেকে আপনি ফোনের পুরো পার্টিশন ফরম্যাট করতে পারবেন

অথবা

 মেমোরি কার্ডে থাকা update.zip ফাইল দিয়ে ফোন আপডেট করতে পারবেন।

রুটিং এর সুবিধা কি ? কি কারনে রুটিং এর ব্যবহার ব্যাপক

১। লুকানো বৈশিষ্ট্য এবং ইন্সটল ইঙ্কম্পেটিবলঃ আপনি ইচ্ছে করলে আপনার ফোনের বেমানান অ্যাপস গুলো আনলক করতে পারবেন ।

২। এন্ড্রএড ডিভাইস এর মাধ্যমে ওয়াই-ফাই হ্যাক করাঃ আসলেই এটি সত্যি।  আপনি চাইলেই আপনার অ্যান্ড্রয়েডটি দিয়ে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের ডিভাইস টি হ্যাক করতে পারবেন। এমন কি আপনি চাইলে ওই নেটওয়ার্কের কানেক্ট থাকা যেকোনো ইউসার কে আপনি নেটওয়ার্কের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবেন ।

“ওয়াই-ফাই” একটি অ্যাপ্লিকেশান নেটওয়ার্কের হ্যাকিং এর জন্য ।

৩। আপনার মোবাইলের প্রসেসর অভারলক করাঃ আপনি আপনার মোবাইলের প্রসেসর এর গতি বাড়াতে পারবেন। কিন্তু এটি প্রসেসর এর জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ । তাই এর আগে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে রাখা উচিৎ ।

৪। ব্লক এডস ফ্রম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসঃ আমাদের অনেকের ফোনেই অনেক অবাঞ্চিত এডস আসতে থাকে। যা কিছু কিছু গ্রাহকের কাছে খুবি বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়। এ সমস্ত বিরক্তি থেকে রুট অ্যাপ্লিকেশনটি আপনাকে দেবে মুক্তি ।

আপনি রুট করে এডস ব্লক দিয়ে রাখলে আপনি পাবেন এই অবাঞ্চিত ঝামেলা থেকে মুক্তি। এই ব্যাপারে র‍্যটিং এর প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত ব্যাপক ।

৫। আপনার ডিভাইস এর র‍্যাম বৃদ্ধিঃ রুটিং আপনার ডিভাইসটির ডাটার ঘনত্ব বিপর্যয় কমিয়ে এর জায়গা বৃদ্ধি করে । রুটিং এর ফলে আপনি এই সুবিধা টি পাবেন আপনার অ্যান্ড্রয়েডটিতে ।

৬। বিভিন্ন ধরনের রম’স, মুড’স, কারনেলঃ আপনি ইচ্ছে করলে বিভিন্ন ধরনের রম’স কারনেল এবং মুড’স ইন্সটল করতে পারবেন। অবশ্য এই তা তখনি করতে পারবেন যখন রুটিং ডিভাইস টি ইন্সটল করা থাকবে ।

অ্যান্ড্রয়েড একটি সর্বশ্রেষ্ঠ অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ডিভাইস হিসেবে এবং সর্বজন নির্ধারিত ।

৭। ব্যাটারির বুস্ট লাইফের জন্য আন্ডারলক সিপিইউঃ আপনি আপনার ফোনটির ব্যাটারির আরও বেশি টেকসই এর জন্য আপনি আপনার সিপিইউটিকে আন্ডারলক করে রাখতে পারবেন ।

রুটিং এর অসুবিধা সমূহ:   

১। ব্রিকিংঃ রুটিং হল একটি ড্রেডেড শব্দ । এটি ইন্সটল থাকলে আপনার  ফোনটিতে কোন বড় সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন না । আপনি যদি এটি কোন ব্যাবসায়িক কাজে ব্যবহার করেন তবে এটি দিয়ে আপনি লাভবান হবেন না ।

এমন কি যদি এটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হয় তবে এর জন্য আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে । কোন বড় কাজে বা ব্যাবসায়িক কাজে এর সুফল তেমন নেই ।

২। মোবাইল রুট করলে কি হয় : এটি ব্যবহার এর সাথে সাথে আপনার ফোনের ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাবে কারন এর পর আপনি আর কর্তৃপক্ষকে এই টা দেখাতে পারবেন না । আপনি এই রুটিং বন্ধ করেও যদি ফোনটিকে ওয়ারেন্টিতে পাঠান তাতেও কোন লাভ হবে না ।

কারন, রুট একবার ইন্সটল করা হলে এর পরে আর এর ডিভাইস আগের মত থাকে না ।  তাই এর ব্যবহারের সাথে সাথে আপনার ওয়ারেন্টির কথা ভুলে যেতে হবে।

৩। সিকিউরিটি রিস্কঃ রুটিং ব্যবহারের ফলে আপনার ফোনটি সিকিউরিটি রিস্কে পরে যাবে। কারন রুটিং ইন্সটলের সাথে সাথে আপনার আপনার ডিফল্ট সেটিংস চেঞ্জ হয়ে যাবে ।

তাই এর সিকিউরিটি আগের মত থাকবে না ।

যার ফলে আপনার ফোনটি একটি সিকিউরিটিহীন অবস্থায় পরবে । আর এতে আপনার একটি ফোনের উপর নির্ভর করে অনেক বড় বড় সমস্যা হতে পারে যা আপনি হয়ত কল্পনাও করতে পারবেন না ।

তাই আমাদের উচিত  মোবাইল রুট করলে কি হয় এর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা তৈরি করা। কারন, তা না হলে অজ্ঞতার কারনে অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যা কি না আপনি ধারনাও করতে পারবেন না।

তবে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এর সুবিধাও ব্যাপক। যা অন্য কোন অ্যাপ আপনাকে দিতে পারবে না।

 অনেক সময় আমাদের ছোট ছোট কিছু ভুলে ঘটে যায় বড় বড় দুর্ঘটনা। আবার অনেক সময় না জানার কারনে অনেক আপডেট অ্যাপ সম্পর্কে ধারনা না পেয়ে আমরা পরে থাকি এনালগ জগতে।

 তাই মোবাইল রুট করার পদ্ধতি এর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকাও অত্যন্ত জরুরি ।এখানে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছ । সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই আলোচনা টি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

Note: আমরা যারা Android ফোন ইউজ করি আমাদের ফোনে তিন ধরনের রম থাকে :

১.স্টক রম

২.কাস্টম রম কাস্টম রম আপনার ফোনে আপডেট দিতে অবশ্যই আপনার ফোন রুটেড হতে হবে।

৩.সাইনোজেন মোড


২। আমার স্মার্ট ফোন এর ওয়াই-ফাই কানেক্ট হয় না



এই পদ্ধতি আপনার সমস্যার সমাধান করবে। আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোন এ wi-fi > Settings > Menu > Advance  এবং stay connected সিলেক্ট করুন। রেঞ্জ এর মধ্যে থাকলে আপনার এন্ড্রয়েড দিয়ে ওয়াই-ফাই কানেক্ট হয়ে যাবে।

৩। মেমরিতে পর্যাপ্ত কাজ করা যায় না

এটি এন্ড্রয়েড এর একটি গুরুত্তপুর্ন সমস্যা। বিভিন্ন কেস (cache) ফাইল ও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আপনার ফোনের মেমরির স্পেস কমিয়ে ফেলে। আপনি “কেস ক্লিনার” বা “ক্লিন মাস্টার” নামক এন্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করে ফোন ক্লিন করতে পারবেন।

কেন সেরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস-

কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনি এই অ্যাপ টি ব্যবহার করতে পারবেন।

১। মেমোরি বুস্ট MEMORY BOOST

মেমোরি বুস্ট এর মাধ্যমে আপনার ফোনের র‍্যাম এর ফ্রী স্পেস বৃদ্ধি করে। ব্যাকগ্রাউন্ড এ রানিং টাস্ক গুলো বন্ধ করে ফোন এর স্পীড বৃদ্ধি করে। এই অ্যাপ টি ব্যবহার এর ফলে আপনার র‍্যাম পরিষ্কার রেখে আপনার ফোনের কর্মক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিবে।

এই ক্লিনার টি ব্যবহার এর ফলে আপনার র‍্যাম এর পারফরমেন্স সব সময় ভাল পাবেন ।

২। ফ্রী স্টোরেজ FREE UP STORAGE

সকল জাঙ্ক ফাইল গুলো খুজে খুজে এই অ্যাপ টি নিজেই তা পরিষ্কার করে আপনার ফোনটিকে রাখবে একদম ফ্রেস এবং ফোনের স্টোরেজ এর অবাঞ্চিত সকল প্রোগ্রাম মুছে দিয়ে এটি আপনার ফোনের স্টোরেজ এর জায়গা বাড়াবে।

আপনার ফোনের স্টোরেজ ফ্রী করতে জাঙ্ক ফাইলস যেমন- ক্যাচ ফাইলস সহ আপনার ডাউনলোডকৃত এপিকে (APK) ফাইল সমুহ ডিলিট করে ফেলুন। এতে ফোন এ ফ্রী স্টোরেজ বৃদ্ধি পায়।

৩। গেম বুস্টার GAME BOOSTER

ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক কিল করার মাধ্যমে গেম খেলার স্পীড ও পারফোমেন্স বৃদ্ধি করা সম্ভব। ম্যাক্সিমাম গেম খেলার পর যে সকল অবাঞ্চিত জাঙ্ক ফাইল থেকে যায় স্টোরেজে সে গুলো নির্মুল করে আপনার ফোনকে রাখে একদম ফ্রেস ।

এন্ড্রয়েড ফোন মানেই গেমিং এ হেব্বি মজা। কে না চায় তার ফোনটি হোক হাই স্পীড গেমিং ফোন। কিন্তু অনেক সময় এই সব অবাঞ্চিত বাড়তি ডাটার কারনে আপনার স্টোরেজ অযথা ফিল আপ হতে থাকে। ফলে ফোন টি হয়ে যায় স্লো । তখন আর ফোন টি আগের মত রান করে না।

৪। স্মার্ট অ্যাপ ম্যানেজারঃ SMART APP MANAGER

এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই অব্যবহৃত অ্যাপস গুলো আন-ইন্সটল করতে পারবেন। এই অ্যাপটির ব্যাকগ্রাউন্ড আপনি আরও অনেক অ্যাপ ইউস করতে পারবেন।

ইন্টারনেট এ ওয়েবসাইট এ কাজ করার সময়ই, অনেক অযথা ফাইল চলে আসে আপনার ফোনে কোন প্রকার পারমিশন ছাড়াই। যে গুলো আপনার ফোনটিকে স্লো করে এবং আপনার ফোন স্টোরেজ অযথা দখল করে রাখে। এই গুলো থেকে আপনি খুব সহজেই এন্ড্রয়েড এর জন্য তৈরি এই ক্লিয়ার অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকতে পারেন নিশ্চিন্ত।

৫। প্রাইভেসি কন্ট্রোলঃ CONTROL YOUR PRIVACY

ফোনে এমন কিছু অ্যাপস রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পারমিশন (যেমন- কল, এসএমএস, লোকেশন, ক্যামেরা এবং কন্ট্যাক্টস) দিয়ে থাকে। সেগুলো আন-ইন্সটল করে ফেলুন।

৬। অ্যাপ প্রটেক্টরঃ APP PROTECTOR

একটি গোপন পিন এর দ্বারা অ্যাপ লকার ব্যবহার করে আপনার ফোনের নিরাপত্তা ঠিক রাখুন।

৭। ওইজেট (widget):

হোম স্ক্রিন এ একটি ওইজেট ব্যবহার করে কুইক বুস্ট করে ফোনের পারফোমেন্স বৃদ্ধি করুন।

৮। শিডিউল মেইন্ট্যানেন্সঃ SCHEDULED MAINTENANCE

আপনার ডিভাইস এর চেকিং মেইন্ট্যানেন্স অটোমেটিক শিডিউল করে ডিভাইস এর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখুন।

৯। থিমসঃ THEMES

নতুন থিম এর দ্বারা আপনার ডিভাইসটি সাজিয়ে নিতে পারেন।

The Cleaner – Speed up & Clean  ক্লিনার অ্যাপ সম্পর্কিত

এই অ্যাপটি একটি এমন অ্যাপ যা ইন্সটলের মাধ্যমে আপনার ফোনের সকল অবাঞ্চিত ফাইল গুলো মুছে ফেলতে পারবেন। এর মধ্যে সরাসরি জিইউআই ব্যবহার করা হয়ে থাকে যার ফলে আপনি এটি সহজেই আপনার ফোনে ইন্সটল করতে পারবেন।

%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%a1-%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%b8

ডিলিট  করুন অ-দরকারী কল বা এস এম এস

এটি ব্যবহার এর ফলে আপানার ফোনের অদরকারী ফোন কল বা এস এম এস অটোমেটিক ডিলিট হয়ে যাবে আপনার স্টোরেজ থেকে।

এছাড়াও এটি আপনার  ফোনের সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করবে।

এই অ্যাপটি আপনার স্টোরেজ এর অত্যন্ত কম যায়গা দখল করে। বিনিময়ে আপনাকে দেয় অনেক রিলেক্সেবল ফোন সার্ভিস।

 কিন্তু আপনি যদি একটি ফ্রী ক্লিনার অ্যাপ ব্যবহার করেন তবে আপনার ফোনটি অনেক পুরনো হওয়া সত্তেও তার কার্যকারিতা আগের মতই থাকবে। গ্রাহকের কাছে তখন তার ফোনটি কোন প্রকার কোন ঝামেলা ছাড়াই হয়ে উঠবে আরও প্রিয়।

এই অ্যাপটি কেন বেস্ট ?

এই অ্যাপটি ফোনের  সাধারনত ৫৪০ এমবি ক্লিন করার ক্ষমতা রাখে এক সাথে। অবশ্যই এটি আপনার পারমিশন ছাড়া কখনই কিছু ডিলিট করবে না। আপনাকে নোটিফিকেশন দিয়ে তারপর সে একশন নিবে। এই অ্যাপটি এক্সটারনাল মেমরির ১৩০-১৮০ এমবি ক্লিন করতে সক্ষম হয় একবারে।

কিছু গেম আছে যা আপনাকে অননেট থেকে খেলতে হয়। যেমন- ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান বা এই ধরনের আরও বহুবিধ আছে। এই গেম গুলো যখন নেট এ রান হয় তখন নেট থেকে  বিভিন্ন অবাঞ্চিত বা অদরকারি এড বা আপ্লিকেশন স্তরে অটোমেটিক স্টোরে জমা হতে থাকে।

এতে আপনার ফোন এর মেমরি স্পেস কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি আপনার ফোন মেমরিতে ইন্সটল করা অ্যাপ গুলি এক্সটার্নাল মেমরি কার্ড এ ট্রান্সফার করে মেমরি স্পেস বৃদ্ধি করতে পারেন।

৪। আমার এসডি কার্ড পাচ্ছে না

এসডি কার্ড এ কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে। আপনি ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে এসডি কার্ড রি-ফরম্যাট করুন। এরপর আপনার ফোন থেকে মেমরি কার্ডটি আবার ফরম্যাট করুন।

৫। সুর্য্যের আলোতে ফোন এর স্ক্রিন দেখতে সমস্যা হয়

আপনি ফোনের স্ক্রিন এর উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। অথবা, অ্যান্টি-গ্লেয়ার স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করে সুর্য্যের আলোতেও সহজেই স্ক্রিন দেখতে পারবেন।

৬। আমি কিভাবে ফোনের অ্যাপস রিমুভ করব?

আপনি Settings > Applications > Manage Applications এ প্রবেশ করুন এবং আপনি যে অ্যাপটি আন-ইন্সটল করতে চান সেটি সিলেক্ট করে আন-ইন্সটল করুন।

৭। ফোনের স্ক্রিন ভেঙ্গে গেছে!! আমি কি নতুন ফোন কিনব?

ভাঙ্গা স্ক্রিন পরিবর্তন করে ঠিক করা যায়। বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে অথবা অনলাইন শপ এ আপনার ফোনের স্ক্রিন খুজে দেখুন। নতুবা একটি নতুন ফোন কিনুন।

৮। পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখা

আপনি Settings > Security > Set up screen lock এবং প্যাটার্ন সিলেক্ট করে আপনার প্যাটার্ন প্রবেশ করান। প্যাটার্ন লক অন্যান্য পাসওয়ার্ড থেকে দ্রুত ও সিকিউর।

৯। আমার লোকেশন ম্যাপ এ সঠিক ভাবে দেখাচ্ছে না

আপনি Settings > Location এ Use GPS satellites সিলেক্ট করুন। এতে আপনাকে সঠিক ন্যাভিগেটিং প্রদান করবে।

১০। কিভাবে আমার এন্ড্রয়েড ফোন এর সকল তথ্য ডিলিট করব

আপনি Settings > SD & Phone Storege > Factory Data Restore এ প্রবেশ করুন। অবশ্যই, এর আগে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা সংরক্ষন করে নিন। কারন এর ফরম্যাট দ্বারা ফোনের সকল কিছু ডিলিট করা হয়।

১১। আমার ফোনটি পানিতে পরে গেছে

খুব দ্রুত ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলুন এবং ফোনের সকল পার্টস খুলে ফেলুন। প্রায় ৭২ ঘন্টা ফোনটি শুষ্ক স্থানে রাখুন। এরপর আপনার ফোনটি চালু করুন। এতে আপনার ফোন ঠিক হয়ে যেতে পারে।

১২। আমার এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের লিখা বড় করতে পারব?

মেসেজ সেটিং এ প্রবেশ করে Set test size  অপশন এ গিয়ে লিখার সাইজ বড় করে দিন।

১৩। আমি কি  এন্ড্রয়েড এপস  অটোমেটিক্যালি আপডেট করতে পারব?

আপনি Google Play > Menu > My Apps এ প্রবেশ করে অ্যাপ সিলেক্ট করে অপশন থেকে অটো আপডেট চালু করে দিন।

১৪। আমি আমার সার্চ করা লিস্ট গোপন রাখতে চাই

আপনি www.google.com/history এ আপনার এন্ড্রয়েড ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করুন এবং লগিন করুন। এখানে আপনি আপনার আগের সার্চ করা হিস্টোরি রিমুভ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে সার্চ গুলো যেন সেভ না করে তা সিলেক্ত করতে পারবেন।

১৫। কিভাবে আমি স্ক্রিনশট নিব?

কিছু কিছু স্মার্ট ফোনে ব্যাক কী ও হোম বাটন একত্রে প্রেস করলে স্ক্রিন ক্যাপচার হয়। সকল স্মার্ট ফোনের জন্য এই পদ্ধতিটি নয়।

১৬। কিছু অ্যাপস এসডি কার্ড এ ইন্সটল হয় না

আপনি আপনার অ্যাপস গুলো ব্যবহৃত এসডি কার্ড এ ট্রান্সফার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অ্যাপটি ইন্সটল করার পর Settings > Manage Applications এ গিয়ে ফোন মেমরি থেকে এসডি কার্ড এ স্থানান্তর করতে হবে।

১৭। কিভাবে আমার ফোনের ভাষা পরিবর্তন করব?

আপনি Settings > Language & Keyboard এ গিয়ে আপনার ভাষাটি সিলেক্ট করুন।

১৮। আমি কি আমার ফোনের প্রি-ইন্সটল করা অ্যাপস রিমুভ করতে পারব?

হ্যাঁ, আপনি আপনার ফোনের প্রি-ইন্সটল করা অ্যাপস রিমুভ করতে পারবেন। এর জন্য রুটিং ডিভাইস এর প্রয়োজন এবং  রুট আন-ইন্সটলার নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

এর সাহায্যে আপনি ফোনের বিভিন্ন অ্যাপস আন-ইন্সটল করতে পারবেন এবং মেমরি স্পেস বৃদ্ধি করতে পারবেন।

১৯। আমি কি এন্ড্রয়েড ফোনের স্পীড বাড়াতে পারব?

এর জন্যে অনেক ধরনের অ্যাপস পাওয়া যায় যেমন- সেট সিপিইউ। যা প্রসেসর এর অভারলকিং দূর করে স্পীড বৃদ্ধি করে। এটি প্রসেসর কে স্লো করে মেমরি সেভ করে।

এটি খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। নয়ত, প্রসেসর এর ম্যাক্সিমাম স্পীড এর পাশাপাশি আপনার ফোনের প্রসেসর ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

২০। আমার ফোন ব্যাকআপ করার সঠিক পদ্ধতি কি?

এন্ড্রয়েড ফোন ব্যাকআপ এর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। Titanium Backup PRO হল সব

চেয়ে উত্তম পন্থা। এর সাহায্যে আপনি এন্ড্রয়েড ফোনের সবকিছু ব্যাকআপ করতে পারবেন। এই ব্যাকআপ ফাইল আপনার ই-মেইল অথবা ড্রপবক্স এ সংরক্ষন করতে পারবেন।

২১। কিভাবে আমি আমার ফোনে ভাইরাস এটাক প্রতিরোধ করব?

আপনি যেকোনো অ্যান্টি-ভাইরাস ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- ক্যাস্পারস্কি মোবাইল সিকিউরিটি অথবা এভিজি যা আপনার ফোনে ভাইরাস আক্রমন থেকে সঠিক নিরাপত্তা প্রদান করবে।

২২। আমার ফোনের সাউন্ড খুবই কম

যদি আপনার ফোনের সাউন্ড খুব কম থাকে, তবে আপনি এন্ড্রয়েড মার্কেট থেকে AudioBoost নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এটি আপনার ফোনের সাউন্ড ৩০% বৃদ্ধি করবে।

২৩। লাইভ ওয়ালপেপার এর কারনে ব্যাটারির চার্জ নস্ট হয়

এর সহজ সমাধান হল আপনি স্ট্যাটিক ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।

২৪। ফোনের ঘড়ির সময় ঠিক থাকে না

ফোনের সময় অটোমেটিক না হওয়ার কারনে সময় ঠিক থাকে না। যদি নেটওয়ার্ক ক্লক স্লো হয়, তবে ফোনের সময় স্লো হবে। এর জন্য Settings > Date & Time > Automatic  সিলেক্ট করে দিন। এতে নেটওয়ার্কের সাথে সময় ঠিক হয়ে যাবে।

২৫। আমি কি অপ্রয়োজনিয় কল ব্লক করতে পারব?

যদি আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক এই সুবিধা প্রদান না করে তবে আপনি Extrem Call Blocker Droid  ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ইনকামিং কল ব্লক করতে পারে কিন্তু এটি সস্থা নয়। এছাড়াও আপনি কল ব্লক এর অন্যান্য অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।

২৬। আমার ফোন মাঝে মাঝে স্লো করে। এর জন্য কোন টুলস বা সাহায্য রয়েছে??

আপনার ফোন ফাস্ট করতে সকল অপ্রয়োজনিয় অ্যাপস এবং ডাটা রিমুভ করে ফেলুন। এছাড়াও আপনি System Tyner Pro ব্যবহার করে এই কাজটি করতে পারবেন। এটি আপনার ফোনের বিভিন্ন টাস্ক ও অযাচিত ফাইল রিমুভ করে ফোনের সর্বাধিক পারফোমেন্স বৃদ্ধি করে।

২৭। আমার ফোন চুরি হয়ে গেছে। আমি কি এটি ট্র্যাক করতে পারব??

আপনি একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করে আপনার ফোনটি ট্র্যাক করতে পারবেন। PhoneLocator Pro এর দ্বারা জিপিএস এর মাধ্যমে ফোন ট্র্যাক করা সম্ভব হয়।

২৮। কেন আই-টিউন্স এন্ড্রয়েড ডিভাইস এ ব্যবহার করা যায় না?

আই-টিউন্স শুধুমাত্র অ্যাপল এর ডিভাইস এর জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইস এ ফিজিক্যাল কানেকশন রয়েছে, তাই আই-টিউন্স এর প্রয়োজন নেই।

২৯। আমি কিভাবে ফোন ফ্রিজিং অবস্থায় অ্যাপ ক্লোজ করব??

এর জন্যে আপনি Settings > Application > Maneg applicatios এ গিয়ে যেই অ্যাপটি ক্লোজ করতে চান, সেটি সিলেক্ট করে Force Stop এ ট্যাপ করুন। যদি অ্যাপটি কোন মিসবিহেভ করে তবে আন-ইন্সটল করে আবার ইন্সটল করুন।

৩০। আমি কি খুব দ্রুত রানিং অ্যাপস ক্লোজ করতে পারব??

আপনি ডিফল্ট টাস্ক ম্যানেজার এন্ড্রয়েড ব্যবহার করে রানিং অ্যাপস ক্লোজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অ্যাপস এর সকল ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করতে পারবেন।

৩১। আমি যে ওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করতে চাই অটোকারেক্ট কেন তা জানে না?

অটো কারেক্ট সকল ওয়ার্ড জানে না। কিন্তু আপনি ডিকশনারি তে ওয়ার্ড খুব সহযেই যুক্ত পারবেন। যখন আপনি টাইপ করবেন, তখন + চিহ্ন দেখতে পারবেন তাতে ট্যাপ করুন। এতে টাইপকৃত ওয়ার্ড ডিকশনারী তে যুক্ত হয়ে যাবে।

৩২। কী-বোর্ড পরিবর্তন করা

আপনি ১২৩ প্রেস করে হোল্ড করে রাখুন,  এতে আপনি আপনার ফোনে ইন্সটল করা কীবোর্ড এর লিস্ট দেখতে পারবেন। সেখান থেকে একটি সিলেক্ট করুন এবং কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন।

৩৩। ফোন চার্জ দেওয়ার সময় স্ক্রিন অফ হয়ে যায় কেন?

আপনি Settings > Application > Development এ গিয়ে Stay awake সিলেক্ট করে দিন। এতে চার্জিং এর সময় স্ক্রিন চালু থাকবে।

৩৪। আমি ক্রয় করা অ্যাপ পুনরায় ইন্সটল করতে পারব?

আপনি গুগল প্লে থেকে ক্রয়কৃত অ্যাপটি পুনরায় ইন্সটল করতে পারবেন। আপনি My Market Account এ প্রবেশ করুন। সেখান থেকে আপনি ক্রয়কৃত অ্যাপটি সিলেক্ট করে ইন্সটল করুন।

গুগল প্লে পুনরায় ইন্সটল এর জন্যে কোন চার্জ দাবি করবে না।

৩৫। আমার এন্ড্রয়েড ফোনটি লেটেস্ট ভার্সন কিনা কিভাবে কা জানতে পারব???

আপনি Settings> About Phone > System software updates > Check now এ ক্লিক করুন। যদি কোন নতুন আপডেট থাকে বা আপডেট আপনার ফোনে ইন্সটল করা রয়েছে তবে তা আপনাকে নোটিশ প্রদান করবে।

Previous Post Next Post