১.হুক বা ইমপ্রেশন রাইটিং
কোন কন্টেন্ট আর্টিকেল শুরু করার পূর্বে সবার প্রথমে আসা উচিত hook বা impression রাইটিং এর ক্ষেত্রে। নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে কল্পনা করুন। কোন লেখা পড়ার আগ্রহ তখনই জন্মে যখন এর hook বা impression এর লেখা ভালো হয়। এ ক্ষেত্রে যারা কোন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখতে চলেছেন তাদের হুক ভালো করার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। কনটেন্ট এর ক্যাটাগরি ভেদে সেগুলো প্রয়োগ হতে পারে। হুক বা ইমপ্রেশন কোন প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। কখনো কখনো সেটি হতে পারে একটি অবাক করার মতো তথ্য দিয়ে।Hook এমন হতে হবে যাতে সেখানে পাঠকরা মেন্টালি কানেক্টেড হয়।স্ক্রিপ্ট রাইটিং যেহেতু অনেকটা ভিজুয়াল করার জিনিস তাই স্ক্রিপ্ট এর শুরুটা হতে হবে solid. স্ক্রিপ্ট এমন হতে হবে যাতে শুরুতে স্ক্রিপ্ট এর theme পাঠকরা ধরতে পারে।
স্ক্রিপ্ট এ কোনো কিছুর বর্ননার শুরু এমনভাবে করতে হবে যাতে অডিয়েন্সদের সাথে theme কানেক্ট হয়।ধরা যাক আপনি কোন নাটক কিংবা শর্ট ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখছেন। এক্ষেত্রে প্রথম দৃশ্য কি হবে সেটির উপরই নির্ভর করছে সেই নাটক বা শর্ট ফিল্মের প্রতি মানুষ কতটুকু আকৃষ্ট হবে।কাজেই শুরূতেই স্ক্রিপ্ট এর theme সলিডভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। স্ক্রিপ্ট যদি কমেডি ঘরানার হয় প্রথম দৃশ্যেই তার ঝলক দেখানোর চেষ্টা করতে হবে।আবার ধরা যাক কেউ যদি ক্রাইম ঘরানার কোন শর্টফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখতে বসে তার উচিত প্রথম দৃশ্য থেকে সাসপেন্সের ইঙ্গিত দেওয়া।
২.টাইমলাইন ও টাইমস্ট্যাম্প এর যথাযথ প্রয়োগ
আপনি একটা কন্টেন্ট লিখতে বসেছেন।এ ক্ষেত্রে টাইমলাইন মেইন্টেইন করা গুরুত্বপূর্ণ। ধরা যাক আপনি ঐতিহাসিক কোন দর্শনীয় স্থান নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে বসেছেন। এখন সেই স্থানটির ইতিহাস আপনার লেখায় থাকা চাই।আপনি সেই স্থানটির ইতিহাস লিখতে শুরু করেছেন।ক্লায়েন্ট আপনাকে দিছে ১ হাজার ওয়ার্ডের একটি কনটেন্টের অর্ডার। এখন সেই কন্টেন্ট এর ওয়ার্ড টার্গেট পূরনের জন্য সেই জায়গার ইতিহাস লেখা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ইতিহাস লেখার সময় ঘটনার সময় এবং এর বর্ননা লেখার ওয়ার্ড এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে লেখা যায়
পদ্ধতি ১
•বর্তমান টাইমলাইন ১মিডল এজ টাইমলাইন প্রাচীন সময়ের টাইমলাইন?বর্তমান টাইমলাইন ২
কোন কিছু লেখার সময় বর্তমান টাইমলাইন দিয়ে লেখা শুরু করা যায়। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়বস্তুর উপর লেখা হচ্ছে তার বর্তমান অবস্থা,বর্ননা এবং এর ইমপ্যাক্ট নিয়ে কন্টেন্ট এর শুরুটা হতে পারে।এরপর ধীরে ধীরে পূরনো সময় এবং তারও আগের পূরনো সময় নিয়ে লেখা শুরু হয়ে আবার বর্তমান টাইমলাইনে ফিরে আসতে হবে। তারপর বর্তমান অবস্থার বিশদ বিবরন এবং ভবিষ্যতের ধারনা দিয়ে লেখার শেষ অংশ লেখা যায়। এ ক্ষেত্রে বর্তমান টাইমলাইন ১ থেকে বর্তমান টাইমলাইন ২ এর লেখার ভলিউম বেশি হতে হবে। তবে এ বিষয়টি নানা ফ্যাক্টরের সাথে জড়িত।এজন্য আপনারা যারা কন্টেন্ট এর অর্ডার নিবেন তখন ক্লায়েন্ট থেকে জেনে নিবেন কন্টেন্ট কি বিষয়ের উপর বেশি ফোকাস করে তৈরি করতে হবে।
ধরা যাক কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কন্টেন্ট তৈরির দায়িত্ব আপনাকে দিল।এখন আপনার উচিত ক্লায়েন্ট থেকে জেনে নেওয়া কোন বিষয়ের উপর বেশি ফোকাস করতে হবে। সেটি হতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মেকানিজম সেটি হতে পারে ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সেক্টর ইত্যাদি ইত্যাদি।একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনার দায়িত্ব ক্লায়েন্ট থেকে ম্যাক্সিমাম চাহিদার বর্ননাটুকু বের করা।কারন কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কাস্টমারের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে।সেই অনুযায়ী আপনাকে লিখতে হবে।এখানে আপনার চোখে ক্রিয়েটিভ কিংবা ইউনিক হলে হবেনা। আপনার ক্লায়েন্ট কি চায় সেটা লেখাই আপনার দায়িত্ব।কারন খুব সম্ভাবনা আছে আপনার চোখে যা ভালো আপনার ক্লায়েন্টদের সেটি ভালো নাও লাগতে পারে।
পদ্ধতি-২
প্রাচীন সময়মধ্যকালীন সময়বর্তমান সময়
পদ্ধতি ১ এ যেমন একটা loop বা বৃত্তের মতো টাইমলাইন তৈরি হয় এখানে এটি হবে স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড।সাধারনত যাদের চাহিদা সহজভাষায় বোঝানো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের চেয়ে তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারনত শর্ট আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ হতে পারে। সেটি হতে পারে ৩৫০-৬/৭০০ ওয়ার্ডের কন্টেন্ট।এই ওয়ার্ড লিমিটের মধ্যেই আপনাকে সবগুলো বিষয় গুছিয়ে নিতে হবে।এ ক্ষেত্রে একটি loop এর মতো সময়ের বর্ননা না করে একটা straight line এর মতো বর্ননা করাই শ্রেয়।
ঠিক একই বিষয় খাটে স্ক্রিপ্ট রাইটিং এরও।স্ক্রিপ্ট যখন কেউ অর্ডার দেয় সাধারণত সেখানে সময়ের কথা উল্লেখ থাকে।সেটি হতে পারে ২৫ মিনিটে মুভির এক্সপ্লেনেশন কিংবা ১ ঘন্টার একটি শর্টফিল্ম কিংবা নাটক। স্ক্রিপ্ট রাইটিং এ এজন্য সময়ের সঠিক প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু স্ক্রিপ্ট এর লেখা ভিজ্যুয়ালি দেখাতে হয় তাই আপনার লেখার টাইমলাইনও সেই অনুযায়ী ভালো হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় কোন দৃশ্য কত সময় ধরে চলবে সেটির উল্লেখ করা। একইসাথে সেই দৃশ্য অনুযায়ী লেখা লিখতে হবে।এ ক্ষেত্রে পার্ট অনুযায়ী লেখার কমবেশী হতে পারে।
বড় স্ক্রিনটাইম কম লেখা কিংবা বেশি স্ক্রিনটাইম কমলেখা পুরো স্ক্রিপ্টের ব্যালেন্স নষ্ট করে দেয়।একজন স্ক্রিপ্ট রাইটারের উচিত সবার আগে নিজের লেখার উন্নতি করা। সেক্ষেত্রে ভালো ভালো স্ক্রিপ্ট কিভাবে লেখা হয় সেগুলো যোগাড় করে ভালো ধারনা নিতে হবে। একইসাথে সমসাময়িক অডিয়েন্সদের চাহিদাও মাথায় রাখতে হবে।
৩.5WH1 নিয়ম
সাধারনত তথ্যমূলক কন্টেন্ট এবং স্ক্রিপ্ট উভয় ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বেশ ভালো ফলাফল দেয়।
5W দ্বারা কি বোঝায়? সেগুলো হচ্ছে
Who
WHY
WHEN
WHAT
WHERE
এরসাথে 1H দ্বারা বোঝায়
HOW
তথ্যমূলক কোনো লেখা লেখার জন্য এই ৫টি জিনিস খুবই ক্রুশিয়াল রোল প্লে করে।এ ক্ষেত্রে এই ৫টি জিনিস লেখায় উল্লেখ করা একজন ভালো রাইটার হওয়ার মেইন key.
যে বিষয় বা niche এর উপর লেখা তৈরি করা হয় সেটি যদি বর্ননামূলক হয় তাহলে এই নিয়ম বেশ উপকারী। কোনো কিছুর বর্ননা,সেটি কখন হলো,কেনো হলে, কিভাবে হলো,কোন জায়গায় হলো এই বিষয়গুলোর উল্লেখ যথাযথভাবে থাকতে হবে।সাধারনত মুভির এক্সপ্লেনেশনের স্ক্রিপ্ট, ইতিহাস বিষয়ক স্ক্রিপ্ট কিংবা কন্টেন্ট এর উপর এই 4W1H নিয়ম প্রয়োগ করা হলে সেই লেখা আরো বেশি প্রানবন্ত হয়। যারা লেখার পাঠক তাদের বিষয়টা পুরোপুরি বুঝে নিতে সহজ হয়।
সাধারনত যারা কন্টেন্ট রাইটারদের জব দিয়ে থাকে তারা এই বিষয়ের প্রতিই জোর দিয়ে থাকে।পাঠক কিংবা ভিউয়ার্সদের ঊপর আস্থা তৈরি করাই মেইন উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।এজন্য যারা লেখে তাদের নিজেদের একজন লেখক নয় বরং পাঠক হিসেবে কল্পনা করে নিতে হবে।একজন পাঠকের চোখে লেখার depth কতটুকু,কি পরিমান বোধগম্য হচ্ছে সেটা নিজেদেরই আয়ত্ব করে নিতে হবে।এজন্য প্রচুর স্টাডি করতে হবে। সেইসাথে এইসকল বিষয় ক্রসচেক করে নিতে হবে। কারন ইন্টারনেটে ভুল তথ্যও থাকতে পারে। বিশেষ করে ইতিহাস বিষয়ক লেখায় ভুল করা বড় ধরনের খারাপ একটি বিষয়। এ ক্ষেত্রে একদিকে আপনি যেমন ক্লায়েন্ট হারাবেন সেই সাথে আপনার নেগেটিভ রিভিউ ও চলে আসাটা বিচিত্র নয়।
৪.জোরপূর্বক কি-ওয়ার্ড প্রয়োগ এর ভুল
নতুন রাইটারদের মধ্যে প্রথম যে ভুলটা দেখা যায় সেটি হচ্ছে কি-ওয়ার্ডের প্রয়োগ নিয়ে। সাধারনত যাদের ওয়েবসাইট এর জন্য SEO friendly কন্টেন্ট ও Script প্রয়োজন তারা এই ভুলটি করে থাকে।
আপনাকে মনে রাখতে হবে একজন কন্টেন্ট রাইটার কিংবা স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে আপনার কর্তব্য লেখা তৈরি করা। আপনার কাজ SEO করা নয় যে আপনি কি-ওয়ার্ডের উপরই শুধু ফোকাস করে একেরপর এক লেখা লিখবেন।
যারা নতুন হিসেবে এই সেক্টরে আসতে চাইছেন তাদের প্রথমেই SEO-friendly আর্টিকেল লেখার দরকার নেই। কারন Seo এর বেসিক নলেজ যাদের নেই তাদের মধ্যথেকে যদি কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করা হয় তাহলে তারা সম্পূর্ন প্রসেস না জেনেই লেখা শুরু করে দেয়। কি-ওয়ার্ড এর এমন জোরপূর্বক প্রয়োগ করে সেটি প্রায় স্প্যাম এর আওতায় পড়ে।এ ধরনের লেখা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিজেক্ট করা হয়। তাই প্রথমেই এ ধরনের মেজর লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নতুন রাইটার হিসেবে প্রথমেই উচিত নিজেদের লেখার আগে উন্নতি করা। যেহেতু কন্টেট টিংবা স্ক্রিপ্ট এর টপিক বহুমুখী হতে পারে সুতরাং প্রথমে যেকোন একটি বিষয় নিয়েই আয়ত্ব করে নিতে হবে আগে। অতপর ধীরে ধীরে অন্যান্য সেক্টরের লেখা হাতে নেওয়া যেতে পারে।যেসব ক্লায়েন্টরা সাধারনত ওয়েবসাইট এর জন্য কন্টেন্ট রাইটারদের কাজ দিয়ে থাকে তাদের বেশিরভাগ চাহিদা থাকে SEO friendly কন্টেন্ট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার জন্যই সাধারনত এসব করা হয়ে থাকে।এজন্য লেখার পাশাপাশি Seo এর কাজ এবং কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে রিসার্চ করে নিতে হবে। কনটেন্ট লেখার শুরুতেই কমার্সিয়াল চিন্তা ভাবনা বাদ দিতে হবে।আগে লিখুন। পোর্টফোলিও ভালোভাবে তৈরী করুন।পরে ধীরে ধীরে আপনার কাজকে কিভাবে কমার্সিয়াল করা যায় সেটি নিয়ে আগাতে হবে। বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই রাইটারের পোর্টফোলিও ও আগের লেখা চেক করে থাকে। এজন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গেস্ট রাইটার হিসেবে লিখতে পারেন। তাছাড়া নিজেদের লেখা গুগল ডকে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন।
৫.লেখার সঠিক tone নির্ধারন করা
যারা লেখালেখির কথা চিন্তা করছেন তারা কি খেয়াল করেছেন একেক জায়গায় লেখার ধরন একেকরকম হয়ে থাকে?
পাঠ্যপুস্তকের লেখা যেমন একাডেমিক টোনের হয়ে থাকে তেমনি কোন রম্যগল্প কিংবা উপন্যাসের লেখা অন্যরকম হয়ে থাকে।আবার কোন বিষয়ে টিউটরিয়াল যদি পড়ে দেখেন সেটি অনেকটা সহজ ধরনের হয়ে থাকে।এইযে একেক ধরনের লেখায় একেক ধরনের বর্ননা লেখা হয়ে থাকে সেটিই হচ্ছে tone.
আপনাকে যদি একাডেমিক লেখার কাজ দেয়া হয় আপনি সেটি কবিতার লাইন দিয়ে শুরু করতে পারেননা। আপনাকে যদি ই-কমার্স এর লেখার কাজ দেয়া হয় সেখানে অন্য সাব ক্যাটাগরির লেখা যোগ করতে পারেননা।প্রতিটা সেক্টরের লেখার নিজস্ব কিছু ধাপ থাকে।
কনটেন্ট হওয়া উচিত কিভাবে পাঠকের মনোজগতে প্রবেশ করা যায় এমন। আপনার লেখায় এমন কোন ওয়ার্ড বা শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয় যেটি পাঠকদের ধরতে অসুবিধা হয়।আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি কি ধরনের অডিয়েন্সদের উপরে আপনার লেখা লিখছেন। কনটেন্ট এর মার্কেটপ্লেস আন্তর্জাতিক হতে পারে। আমাদের দেশে যেমন বলা হয় “পানি” তেমনি ভারতে সেটি “জল” লেখার প্রচলন।এজন্য যেখানে যেরকম অডিয়েন্সদের টার্গেট করা হয় সেটির কথা বিবেচনা করেই শব্দ বাছাই করে নিতে হবে। একাডেমিক ধরনের লেখায় আপনাকে একাডেমিক ও প্রফেশনাল ঘরানার কথাবার্তা বলতে হবে।
স্ক্রিপ্টের ক্ষেত্রেও এ কথা খাটে। স্ক্রিপ্টও অডিয়েন্স ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়। কার্টুন লেখার স্ক্রিপ্ট যেমন আছে তেমনি একাডেমিক এক্সপ্লেনেশনের স্ক্রিপ্টও আছে। আপনারা যখন কোন লেখা হাতে নিবেন নিচের বিষয়গুলো ক্লায়েন্ট থেকে জেনে নিবেন
প্ল্যাটফর্ম: কোথায় আপলোড হবে
অডিয়েন্স: কি ধরনের মানুষদের টার্গেট করে লেখা হবে
ফোকাস: কোন বিষয়ে জোর থাকবে।সেটি হতে পারে তথ্য,সেটি হতে পারে কোনো জনরা ইত্যাদি।
ওয়ার্ড লিমিট: কত শব্দ বা মিনিটের হয়ে থাকবে।
৬.লেখায় এলিমেন্ট যোগ করা
সাধারনত স্ক্রিপ্ট রাইটিং এ প্রচুর পরিমানে এলিমেন্ট যোগ করতে হয়। যেহেতু স্ক্রিপ্ট ভিজ্যুয়াল কাজের জন্য তাই আপনার লেখায় চরিত্রের বর্ননা, পরিবেশের বর্ননা ইত্যাদির জন্য প্রচুর এলিমেন্ট যোগ করতে হবে। লেখায় ব্রেকেট, হাইলাইটস এর ব্যবহার জানতে হবে।কোন দৃশ্য কত মিনিটের হবে,ক্যামেরা বা ক্যারেক্টারের মুভমেন্ট কি ধরনের হবে সেটি যোগ করতে হবে। স্ক্রিপ্ট যদি বিশ্লেষনধর্মী হয় তাহলে Quote, রেফারেন্স,সার্ভে ইত্যাদির উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়।
কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রেও আপনার লেখা অনুযায়ী এলিমেন্ট যোগ করতে হবে। এই এলিমেন্ট হতে পারে প্রাসঙ্গিক কোন ছবি, রেফারেন্স,ভিডিও ইত্যাদি।
একইসাথে লেখায় ট্যাগ এর ব্যবহার করতে হবে। বুলেট পয়েন্ট,বোল্ড সেনটেন্স,কালার সেনটেন্স ইত্যাদি যোগ করা যেতে পারে।
লেখার সাবলীলতা ধরে রাখার জন্য এসব এলিমেন্ট প্রয়োজন।তবে জোরপূর্বক এসব প্রয়োগ করা অনুচিত। এতে একদিকে লেখার সাবলীলতা যেমন চলে যাবে তেমনি ক্লায়েন্টও আপনার লেখাকে রিজেক্ট করে দিতে পারে।আপনি যদি ওয়েবসাইটের জন্য লেখেন লেখার শেষে FAQ যোগ করতে পারেন। এতে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে আরো লেখার প্রয়োজন হবে। আরো বেশি traffic যোগ হবে।এসব লেখার জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে আবারো হায়ার করতে পারে।
সর্বশেষ আপনার লেখা কোন ফরম্যাটে জমা দিতে হবে সেটি মাথায় রাখতে হবে।সাধারনত google doc file এই বেশিরভাগ কন্টেন্ট এর আদান প্রদান হয়ে থাকে। তাছাড়া কেউ কেউ সরাসরি ওয়েবসাইটে অ্যাকসেস দিয়ে থাকে লেখা আপলোড দেওয়ার জন্য।এ ক্ষেত্রে ভুল এড়াতে আগেই নিজের note কিংবা doc এ লিখে সেটির প্রুফরিডিং করে নেওয়া ভালো।এতে বারবার edit করার ঝামেলায় যেতে হবে না।