DSLR এর পূর্ণ রূপ Digital Single Lens Riflex

 DSLR এর পূর্ণ রূপ ডিজিটাল সিঙ্গেল-ল্যান্স রিফ্লেক্স’ ক্যামেরা




ডিএসএলআর হল সিঙ্গেল লেন্সের রিফ্লেক্স ক্যামেরা (SLR) এবং ডিজিটাল ক্যামেরার পিছনের অংশগুলির সংমিশ্রণ যা ফটোগ্রাফিক ফিল্মকে প্রতিস্থাপন করে। DSLR  এমন একটি ডিজিটাল ক্যামেরাকে বোঝায় যা অপটিক্স এবং একক/সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরাটির ডিজিটাল ইমেজিং সেন্সরের সাথে সংহত করে। সহজ কথায়, এটি একটি ডিজিটাল ক্যামেরা যা লেন্স থেকে ভিউফাইন্ডারের দিকে আলো নির্দেশ করতে মিরর ব্যবহার করে।

প্রথম ডিএসএলআর ক্যামেরাটি ইস্টম্যান কোডাক গবেষণা পরীক্ষাগারে নিউ ইয়র্কের রচেস্টারে আবিষ্কার হয়েছিল। স্টিভ স্যাসন নামে একজন ২৪ বছর বয়সী উদ্ভাবক দ্বারা উইলার্ড এস বয়ল এবং জর্জি ই স্মিথ 1969 সালে ডিজিটাল সেন্সর ব্যবহার করে প্রথম সফল ইমেজিং প্রযুক্তি বিকাশ করেছিলেন। ২০০৯ সালে বয়ল এবং স্মিথ ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে অবদানের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন। 1975 সালে, স্টিভেন স্যাসন কোডাক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ডিজিটাল স্টিল ক্যামেরা তৈরি করেছিলেন, যা ফেয়ারচাইল্ড 100 × 100 পিক্সেল চার্জ-কাপলড ডিভাইস ব্যবহার করেছিল।

ছবি উঠানোর সময় আপনি কিভাবে আপনার ক্যামেরা বা মোবাইল ধরবেন

DSLR হলো SLR(single-lens reflex) এর আপডেট ভার্সন। DSLR মানে ‘ডিজিটাল সিঙ্গেল-ল্যান্স রিফ্লেক্স’ ক্যামেরা।

সব ক্যামেরারই কয়েকটা মূল অংশ থাকবে:

১. একটা লেন্স, যার মধ্যে দিয়ে আলো প্রবেশ করবে। এই লেন্স এর ভিতরেই কতটুকু আলো ঢুকবে, সেটা নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা থাকবে।
২. আলো টা ঢোকার পর একটা পর্দায় পড়বে, যেটা এই আলোর তীব্রতা এবং রং এর পার্থক্যকে রেকর্ড করবে। ফিল্মের যুগে এই পর্দা ছিল ফিল্ম, আর এখন সেটা হলো একটা সেন্সর।

৩. একটা মাধ্যম যার ভিতর দিয়ে আমরা শাটার প্রেস করার আগে দেখতে পাবো ফ্রেমটা কেমন হলো। এই মাধ্যমটা দুইরকম হতে পারে..একটা হলো অ্যানালগ, যার মধ্যে মুল দৃশ্যটা সরাসরিই দেখা যাবে, অনেকটা দুরবীনের মধ্যে দিয়ে যেমন দেখি। আর একটা হতে পারে ডিজিটাল, যেখানে ক্যামেরার পিছনে একটা পর্দায় দৃশ্যটা লাইভ ভিডিওর মতো দেখা যাবে।

ক্যামেরা কত রকম:

ক্যামেরা অনেক রকম। ডিজিটালের তো হাজার রকম। সবগুলো নিয়ে কথা বলা সম্ভব না। তারচেয়ে যেগুলো সম্পর্কে জানা আমাদের দরকার, সেগুলো নিয়ে আলাপ করি।

১. এস এল আর (Single lens reflex) ক্যামেরা: এস এল আর হলো মোটামুটি আদি ও আসল ক্যামেরা। ফিল্মের যুগে বেশিরভাগ ক্যামেরাই ছিল এস এল আর। ডিজিটাল যুগে হলো ডি এস এল আর।

এস এল আর ক্যামেরাগুলোর মূল বৈশিষ্টগুলো:

ক) এই ক্যামেরায় প্রয়োজন মতো লেন্স খোলা এবং বদলানো যায়।
খ) এই ক্যামেরায় একটা আয়না থাকে, যেটা কোন দৃশ্যকে প্রতিফলিত করে একটা প্রিজমের মাধ্যমে ফটোগ্রাফার এর চোখে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাত আপনি ছবি তোলার আগে দেখে নিতে পারছেন আপনার ফ্রেমের অবস্থা। দেখে নিতে পারছেন আপনার সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ খানার মধ্যে কেউ বিড়ি ফুকতে ফুকতে ঢুকে গেল কি না, কিংবা আপনার সুন্দরী মডেলের মাথাটাই কাটা পড়লো কি না উল্টো পাল্টা ফ্রেমিংয়ের কারনে। অনেকে হয়তো বলেন, আজকাল তো ক্যামেরার পেছনে একটা পর্দায় একেবারে ভিডিওর মতো প্রিভিউ দেখা যায়, তাহলে আর এই আয়না দিয়ে দেখার দরকার কি?
উত্তর টা খুব সহজ।

ধরুন আপনার বাড়ির আয়না টা সরিয়ে আমি একটা ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে দিলাম, যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে দেখতে পারবেন একটা টিভিতে..মানে একটা ডিজিটাল আয়না আর কি। ভালো লাগবে আপনার? ব্যপারটা অনেকটা এইরকম ডিএসএলআর এর ক্ষেত্রে। সত্যিকারের আয়নায় যত নিখুত, আর ‘রিয়েল লাইফ’ প্রিভিউ দেখা যায়, সেটা এখন পর্যন্ত কোন ডিজিটাল স্ক্রিন রিপ্লেস করতে সক্ষম হয়নি। আপনি যদি একবার এসএল আর এর ভিউ ফাইন্ডারে ছবি দেখে অভ্যস্ত হয়ে যান, তাহলে আর ডিজিটাল প্রিভিউ আপনার ভালো লাগবে না।

ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরার অংশ গুলো হল:

১. লেন্স

২. দৃশ্যের ‘প্রিভিউ’ দেখার আয়না

৩. ফোকাসিং স্ক্রিন

৪. প্রিজম, যেটা আলোর গতিপথ পরিবর্তন করে দর্শকের চোখে পৌছেঁ দেয়

৫. আইপিস, যেখানে চোখ রেখে প্রিভিউ দেখতে হয়

৬. ফোকাল প্লেন শাটার, ছবি তোলার মুহূর্তে এটা খুলে যায়্ এবং ফলশ্রুতিতে সেন্সরের উপর আলো পড়ে।

৭. সেন্সর।

গ) সাধারনত: এই ক্যামেরার সেন্সর এর সাইজ হয় একটা স্ট্যান্ডার্ড ৩৫ মিমি ফিল্মের সমান। যেটার প্রকৃত মাত্রা হলো ৩৬ মিমি X 24 মিমি। এই সাইজের সেন্সরকে বলা হয় ‘ফুলফ্রেম’।

ছবি উঠানোর সময় আপনি কিভাবে আপনার ক্যামেরা বা মোবাইল ধরবেন

যে সুবিধা  গুলো  DSLR আপনাকে দিবে 

  • অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার।
  • সহজ সম্পাদনা এবং কম শব্দ।
  • স্পিড এবং ছবির কোয়ালিটি ভাল থাকে।
  • ডিএসএলআর ক্যামেরাগুলিতে বিনিময়যোগ্য লেন্স থাকে।
  • দ্রুত আলোকপাত এবং কম আলোতে উচ্চ মানের ছবি তোলা যায়।
  • একটি সাধারণ ডিজিটাল ক্যামেরার তুলনায়, ছবি তোলা খুবই সহজ।
  • ডিএসএলআর ক্যামেরায় ধুলো অপসারণ সিস্টেম এবং ফিল্টার এর সিস্টেম রয়েছে।
  • ডিএসএলআরগুলিতে প্রায় সমস্ত ফাংশন সরাসরি আইএসও গতি, রঙের ভারসাম্য এবং তাপমাত্রা, ফ্ল্যাশ আউটপুট এবং অটোফোকাস মোডগুলি থেকে ওভাররাইড করা যায়।
Previous Post Next Post