একটি ডিজিটাল সিঙ্গেল-লেন্স রিফ্লেক্স (digital Single-Lens Reflex, DSLR) বা জনপ্রিয় ভাষায় ডিএসএলআর যিনি একবার কিনেছেন, শখে হোক বা পেশাগত কারণেই হোক, তিনি জানেন একটা ডিএসএলআর সামলানো কত ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার; আর এর সাথে কত যে আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি বা ক্যামেরা এক্সেসরিজ কিনতে হয়। একজন অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার জানেন সঠিক ক্যামেরা এক্সেসরিজ যা তার ডিএসএফআর’র সাথে ঠিকভাবে কাজ করবে, তা খুঁজে বের করা কি রকম একটা প্যারার কাজ।
কিন্তু, নতুনরা কিভাবে সঠিক এক্সেসরিজ কিনবেন? লেন্স বা ফিল্টার, যেটাই কেনার প্ল্যান করেন না কেন, অনেক প্রশ্ন এসে ভিড় করে। আর, ভুল এক্সেসরিজ কিনে ফেললেন তো, একেবারে সিটি কর্পোরেশনের নর্দমায় যাবে টাকাটা!!! এক্সেসরিজের রিসেল ভ্যালু অর্ধেকও নাই।
এই কারণে এই পোস্টে আজ আলোচনা করব এমন কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরার এক্সেসরিজ সম্পর্কে যেগুলোর এক বা একাধিক আইটেমে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারে আপনার DSLR এর জন্য সংগ্রহ করা লাগবেই।
ক্যামেরার ব্যাগে সাথে যদি রাখেন একটি হ্যান্ড ব্লোয়ার, তবে খুব সহজেই লেন্সের উপরে পড়া আলগা ময়লা দূর করে ফেলা যায় সহজেই। ব্লোয়ার ব্যবহার করাই বেশি উপযোগী, কারণ লেন্সের উপর থাকে দূর্লভ কেমিক্যাল কোট। লেন্সের উপর মোছামুছি করে কেমিক্যাল উঠিয়ে দিয়ে আলোর পাস করার ক্ষমতা কম/বেশি হয়ে ছবির বারোটা বাজবে। তাই, ব্লোয়ার ব্যবহার করার শ্রেয়।
এই লেখায় ব্যবহৃত সব ছবিই অ্যামাজন থেকে নেয়া হয়েছে।
কিন্তু, নতুনরা কিভাবে সঠিক এক্সেসরিজ কিনবেন? লেন্স বা ফিল্টার, যেটাই কেনার প্ল্যান করেন না কেন, অনেক প্রশ্ন এসে ভিড় করে। আর, ভুল এক্সেসরিজ কিনে ফেললেন তো, একেবারে সিটি কর্পোরেশনের নর্দমায় যাবে টাকাটা!!! এক্সেসরিজের রিসেল ভ্যালু অর্ধেকও নাই।
এই কারণে এই পোস্টে আজ আলোচনা করব এমন কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরার এক্সেসরিজ সম্পর্কে যেগুলোর এক বা একাধিক আইটেমে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারে আপনার DSLR এর জন্য সংগ্রহ করা লাগবেই।
সংগ্রহে রাখার মত একগুচ্ছ ক্যামেরা এক্সেসরিজ
হোয়াইট ব্যালান্স গ্রে কার্ড সেট (White balance gray card set)
যে ক্যামেরাতে RAW মুডে ছবি তোলা যায়, সেক্ষেত্রে হোয়াইট ব্যালান্স নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন পরে না। কিন্তু, কেউ যদি JPEG মুডে ছবি তোলে, সেক্ষেত্রে? আর, JPEG মুডে তোলা ছবিতে যদি মোটামুটি নিখূঁত ছবি তুলতে চান যাতে পোস্ট-প্রসেসিং ছাড়াই ভাল ছবি হিসাবে চালিয়ে দেয়া যায়, তখন কি ভাবে ছবি তুলবেন? এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ‘গ্রে কার্ড’। গ্রে কার্ড ব্যবহার করে হোয়াইট ব্যালান্স চেক করে নিলে কালার ও এক্সপোজার এর কম্বিনেশন ঠিক রেখে, বেশ চটকদার ছবি পাওয়া যায়।স্পিডলাইট বা ফ্ল্যাশের জন্য মিনি সফটবক্স (Softbox for speedlight)
ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে সবাই ডিজিউজ লাইটের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য জানেন। ডিজিউল লাইট এর কারণে প্রোট্রেটের মুখমণ্ডলের উপর পড়া আলোর বৈশিষ্ট্যকে একেবারে পরিবর্তন করে, ছবি থেকে শ্যাডো দূর করে ছবিকে সুন্দর করে তোলে। সমস্যা হল যে বড় সফটবক্স নিয়ে চলাফেরা ও নাড়াচাড়া করা অসুবিধাজনক। এর সমাধান হলো, ছোট আকারের সফটবক্স বা ডিএসএলআর (DSLR) এর বিল্ট-ইন ফ্ল্যাশ বা এক্সটারনাল ফ্ল্যাশের সাথে সুন্দর করে সেট (স্ন্যাপ-ইন) করে নেয়া যায়।ব্লোয়ার (Blower)
লেন্স অথবা সেন্সরের উপরে পড়া স্পটের কারণে ক্যামেরাতে তোলা ছবিতে অনাকাঙ্খিত স্পট আনে। এটা শুধু বিরক্তিকরই নয়, এই স্পট পোস্ট প্রসেসিং দিয়ে দূর করার সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এটা একটা এক্সটা প্যারা। আর প্রফেশনার ফটোগ্রাফিতে সময় বের করাই মুশকিল। কিন্তু, তারপরেও লেন্সে বা সেন্সরে ধূলা-বালি পড়বেই।ক্যামেরার ব্যাগে সাথে যদি রাখেন একটি হ্যান্ড ব্লোয়ার, তবে খুব সহজেই লেন্সের উপরে পড়া আলগা ময়লা দূর করে ফেলা যায় সহজেই। ব্লোয়ার ব্যবহার করাই বেশি উপযোগী, কারণ লেন্সের উপর থাকে দূর্লভ কেমিক্যাল কোট। লেন্সের উপর মোছামুছি করে কেমিক্যাল উঠিয়ে দিয়ে আলোর পাস করার ক্ষমতা কম/বেশি হয়ে ছবির বারোটা বাজবে। তাই, ব্লোয়ার ব্যবহার করার শ্রেয়।
লাইট রিফ্লেকটার (Light Reflector)
এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, যখন ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে লাইট রিফলেক্টর ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে বা ছবির প্রয়োজনেই রিফলেক্টর ব্যবহার করতে হয়। রোদ্রজ্জ্বল দিনে আউটডোর শুটিং বা ইনডোরে স্টুডিও লাইটের নীচে ছবিতে ড্রামা আনার জন্য ফটোগ্রাফারগণ বিভিন্ন ধরনের রিফলেক্টর ব্যবহার করে থাকেন।লেন্স পেন (Lens Pen)
লেন্সের উপরে পড়া আলদা ধূলা-বালু বা অনাকাঙ্খিত স্পট দূর করতে ব্লোয়ার ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু, খুব ঘার-ত্যাড়া স্পট দূর করতে লেন্স পেন সংগ্রহে রাখা ভাল। বিভিন্ন মডেলের লেন্স পেন পাওয়া যায়। যে লেন্স পেনের দু’ধারের এক ধারে ব্রাশ ও অপর ধারে সফট কাপড় থাকে সেটা সংগ্রহে রাখা ভাল।কিবোর্ড শর্টকাট স্কিন (Keyboard Shortcut Skin)
ফটোগ্রাফারদের বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এডিটিং টুল ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। এই সমস্ত সফটওয়্যারগুলোতে দ্রুত কাজের জন্য অনেক শর্টকাট কি কম্বিনেশন থাকে। কত মনে রাখা যায়! পিসি বা ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ) সেলুলয়েডের তৈরী শর্টকাট স্কিন বাজারে পাওয়া যায়। যখন যে সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন, তার সাথে মিলিয়ে শর্টকাট স্কিন পরিবর্তন করে নিতে হবে শুধু। দারুন সুবিধা জিনিষ, তাই না!পপ আপ ফ্ল্যাশ ডিফিউজার (Pop Up Flash Diffuser)
যারা এখনও এক্সটারনাল স্পিডলাইন কিনেন নাই, ক্যামেরার বিল্ট-ইন ফ্ল্যাশটাই একমাত্র সম্বল, তাদের জন্য এই ডিফিউজার একমাত্র ভরসা। এই ডিফিউজার কাজে-কর্মে একেবারে সফটবক্সের মত কাজ করে।ক্লিনিং ক্লথ (Cleaning Cloth)
ক্যামেরা লেন্সের উপরে কেমিক্যাল কোটিং স্প্রে করা থাকে। এ কারণে লেন্স খালি হাতে ছুঁতে বারণ করা হয়। কিন্তু, আমার তো লেন্স পরিস্কার করতেই হবে। তো এখন কি করব? এ ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকা পালন করবে, এই ক্লিনিং ক্লথ। মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরী এই ক্লিনিং ক্লথগুলো এমনভাবে তৈরী যাতে লেন্সের কোন ক্ষতি করে না। আপনার ক্যামেরা ব্যাকপ্যাকে একটা থাকাই চাই!নেক স্ট্র্যাপ (Neck Strap)
সব ক্যামেরার সাথে অরিজিনাল যে স্ট্র্যাপ দেয়া হয়, তাতে অধিকাংশ ফটোগ্রাফারগণ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। এই স্ট্র্যাপটির পরিবর্তে ফটোগ্রাফারদের একটি আপগ্রেডেড স্ট্র্যাপ কিনা উচিত। ছবিতে যে ধরণের স্ট্র্যাপ দেখা যাচ্ছে, সেটি ফটোওয়াক বা স্ট্রিট ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ। এই স্ট্র্যাপটি শক্তিশালী নিউপ্রিন দিয়ে তৈরী। আর, এর শক্তিশালী স্ক্রু ক্যামেরাকে শক্ত ভাবে ধরে রাখে। এটি মজবুজ ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরী, যা কাপড়ের উপরে কামড় দিয়ে থাকে এবং সহজেই স্লিপ করে না।ব্যাকপ্যাক (Backpack)
ফটোগ্রাফারদের প্রায়শ:ই ফটোওয়াক বা ট্যুরে যাবার প্রয়োজন পড়ে। প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, পাওয়ার ব্যাংক, প্রভৃতিসহ ফটোগ্রাফির সাথে সম্পর্কিত সব কিছু এক সাথে রাখার জন্য আদর্শ একটি ব্যাকপ্যাক প্রয়োজন হয়ে থাকে। এগুলো ২,৫০০ টাকা থেকে শুরু ১৫,০০০ বা তারও বেশি হয়ে থাকে। কিছু মডেলের ব্যাকপ্যাকে ট্রাইপডের জন্য আলাদা হোল্ডার বা স্ট্র্যাপের ব্যবস্থা আছে। কোনটার সাথে আবার রয়েছে সোলার প্যানেল। একটি ব্যাকপ্যাক ফটোগ্রাফিকে সহজ করে দেয়।পোলারাইজার ফিল্টার (Polarizer Filter)
পোলারাইজার ফিল্টার দিয়ে কোন সাবজেক্টের উপর থেকে রিফলেকশনকে দূর করে। এছাড়াও, এই ফিল্টার ব্যবহারে সাবজেক্টের রঙের ঘনত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে; সাবজেক্টকে করে তোলো আরও প্রাণবন্ত। বাংলাদেশে সার্কুলার পোলারাইজার ফিল্টারের ব্যবহার বেশি। গুণগতমানের উপর এর মূল্য নির্ভর করে। এন্ট্রি লেভেলের একটি পোলাইজার ফিল্টার ২,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। ভাল মানের ফিল্টার ৬,০০০ বা তদোর্ধ্ব হয়ে থাকে।ট্রাইপড (Tripod)
অল্প আলোতে সাধারণত: ISO কমিয়ে ভালো ছবির তুলবার জন্য সাটার স্পীড কমাতে হয়। এতে হাতের কাঁপুনিতে ছবি ঝাঁপসা হয়ে যায়। এ অবস্থায় ট্রাইপড ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। আলো যেখানে কম, সেখানে রেজর-শার্প ছবি পেতে ট্রাইপডের সাথে ক্যামেরা ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নাই। এছাড়াও, লং এক্সপোজার ছবির জন্য ট্রাইপডের ব্যবহার তো একেবারেই বাধ্যতামূলক।বলহেড (Ballhead)
ট্রাইপড তো হল। এর সাথে আরেকটা বলহেড না লাগালে আপনার সেট হয়ে পড়বে অসম্পূর্ণ। ট্রাইপডের সাথে বলহেড লাগালে আপনি ক্যামেরা মুভমেন্টে পাবেন অফুরন্ত স্বাধীনতা।অডিও এ্যাডাপটার (Audio Adapter)
হোম পার্টির ভিডিও ধারণের জন্য ডিএসএলআরের বিল্ট-ইন মাইক্রোফোনে কাজ চলে যেতে পারে, তবে, ইন্টারভিউ বা প্রফেশনাল প্রয়োজনের ডিএসএলআর’র সাথে বুম মাইক্রোফোন ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি অডিও এ্যাডাপটার প্রয়োজন হবে।হোয়াইট ব্যালান্স লেন্স ক্যাপ (White Balance Lens Cap)
যারা JPEG তে ছবি তোলেন, তাদের ছবিতে সঠিক হোয়াইট ব্যালান্স অনেক সময় পাওয়া যায় না। পোস্ট প্রোসেসিং করে ঐ সকল ছবির হোয়াইট ব্যালান্স সহজে ঠিক করা যায় না, গেলেও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এক্ষেত্রে অনেকে একটি গ্রে কার্ড দিয়ে হোয়াইট ব্যালান্স রিডিং নিয়ে ছবি তুলে থাকেন। লেন্সের সাথে লাগানো যায়, এমন হোয়াইট ব্যালান্স ক্যাপ হতে পারে তাদের জন্য একটি ভাল সমাধান।অতিরিক্ত ব্যাটারী (Spare Battery)
সাধারনত: দূরবর্তী স্থানে ২/৩ দিনের ট্যুরে গেলে, যেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই, সেখানে একটি ব্যাটারীর উপরে নির্ভর করা যায় না। এক্ষেত্রে যে ক্যামেরা ব্যবহার করবেন, তার আরও একটি অতিরিক্ত ব্যাটারী সাথে নিয়ে আপনার ভ্রমণকে প্রশান্তিময় করে তুলতে পারবেন। তবে, যাত্রার আগে ভালভাবে চেক করে নিতে হবে ব্যাটারীগুলো সম্পূর্ণ চার্জ দেয়া হয়েছে কি না!এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ (External Hard Drive)
নতুন ডিএসএলআর কিনবার পর ছবি তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়লে হু হু করে পিসি বা ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভ ভর্তি হতে থাকে। আর, ফুলফ্রেম ক্যামেরা হলে তো কথাই নাই। একেকটা ছবির সাইজ হয় ৫০ মেগাবাইট। আপনার দারুন কষ্ট করে তোলার ছবির সুরক্ষা দিবে যদি এগুলো সঠিকভাবে ব্যাকআপ করে রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একটি বড় সাইজের এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ হতে পারে আপনার একটি বিচক্ষণ ইনভেস্টমেন্ট।অল্প আলোতে ব্যবহার উপযোগী লেন্স (Low Light Capable Lens)
ক্যামেরার সাথে যে কিট লেন্সগুলো বিক্রয় হয়, খেয়াল করেছেন হয়তো, এগুলো অল্প আলোতে ছবি তোলার জন্য মোটেই আদর্শ লেন্স নয়। স্বল্প আলোতে ছবি তোলার জন্য আদর্শ লেন্সে বড় এ্যাপারচার থাকে। সাধারণত: এফ/১.৮ এ্যাপারচারের লেন্সগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়। নিকন, ক্যাননসহ অন্যান্য সকল কোম্পানীর রয়েছে বিভিন্ন ফোকাল লেন্থের এমন অনেকগুলো লেন্স। বাজেট অনুযায়ী এমন লেন্স কিনে ব্যাকপ্যাকে রাখতে পারেন।ক্যামেরা স্কিন বা জ্যাকেট (Snug-It Camera Skin)
জার্নিতে বা ফটোওয়াকে শুটিং এর সময় ক্যামেরার কোন অংশে অন্য কিছুর সাথে ধাক্কা লেগে ক্ষতি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ক্যামেরার বডিতে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে বাজারে প্রটেকটিভ কাভার পাওয়া যায়। ক্যামেরা এক্সেসরিজ এর তালিকায় এরূপ একটি কাজের জিনিষ তালিকা রাখা যায়।মেমোরি কার্ড ডিভিডি রাইটার (Memory Card to DVD Burner)
RAW মুডে ছবির সাইজ বড় হয়। আউটডোর সুটিং এ ছবি দিয়ে মেমোরি কার্ড ভর্তি হয়ে গেলে, তা ল্যাটপট ডাউনলোড করে পুনরায় শুটিং শুরু করা যায়। এই অসুবিধা দূর করতে রয়েছে এমন ডিভিডি রাইটার যা সরাসরি মেমোরি কার্ড থেকে ডিভিডি ডিক্সে বার্ন করে রাখা যায়। ট্রাভেল ফটোগ্রাফারগণ EZDigiMagic DVD burner টি নিজের জন্য একটি সংগ্রহে রাখতেই পারেন।জুম লেন্স (Zoom Lens)
ক্যামেরার সাথে বিক্রি হওয়া কিট লেন্সের (১৮-৫৫ এমএম) জুম করার ক্ষমতা তেমন থাকে না। দূরবর্তী সাবজেক্টের ছবি তোলার জন্য আপনাকে আবার বেশি জুম করার ক্ষমতাসম্পন্ন লেন্স কিনতে হবে। ক্যামেরা প্রস্তুতকারক সব কোম্পানি জুম লেন্স বিক্রি করে থাকে। ৫৫-২৫০ এমএম বা ৭০-৩০০ এমএম লেন্স, এমনকি ২০০-৫০০ এমএম বা ১৫০-৬০০ এমএম লেন্স কিনে বিভিন্ন ধরণের ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। এই লেন্সগুলো কিট লেন্স আপনাকে দিবে অনেক বেশি জুম করার ক্ষমতা। আপনার সাবজেক্ট চলে আসবে একেবারে নাকের উপরে!স্পিডলাইট ফ্ল্যাশ (Speedlight Flash)
স্পিডলাইটকে অনেকে ফ্ল্যাশগান নামে ডাকেন। মডেলিং এর মত ক্রিটিক্যাল ফটোগ্রাফিতে স্পিডলাইট একটি প্রয়োজনীয় ক্যামেরা এক্সেসরিজ। ডিএসএলআর’র সাথে থাকা বিল্ট-ইন ফ্ল্যাশ দিয়ে যে ছবি পাওয়া যায়, তাতে কাজ চলে যাবে, তবে, স্বল্প আলোতে বিল্ট-ইন ফ্ল্যাশ’র ছবি দেখে গা শিউরে উঠতে পারে। 🙂 আর, বিল্ট-ইন ফ্ল্যাশের আলোর কাভারেজও কম। একটি ভাল স্পিডলাইট ৩০ ফুট পর্যন্ত ছবিতে পর্যান্ত আলো সরবরাহ দিতে পারে।ফ্ল্যাশ বাউন্সার (Flash Bouncer)
স্পিডলাইটের জন্য ইনভেস্ট করে থাকলে, এর একটি ক্যামেরা এক্সেসরিজ আপনার প্রয়োজন পড়বে। একটি হল ফ্ল্যাশ বাউন্সার। এটি ফ্ল্যাশের মুখে খুব সুন্দরভাবে এঁটে বসে যায় এবং ফ্ল্যাশের আলোকে সুন্দরভাবে ডিভিউজ বা সফট্ করে দেয়। ছবিতে যে ফ্ল্যাশ ডিফিউজারটি দেখতে পাচ্ছেন, সেটি Sto-fen কোম্পানির।ইউভি ফিল্টার (UV Filter)
ইউভি ফিল্টার ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফিতে দারুন কাজে দেয়। এটি ব্যবহারে ছবির নীল রঙের ধোয়াশা (বা ছোপ-ছোপ হয়ে যাওয়া) দূর করে। সাধারণত: ক্যামেরা কিনবার পরে লেন্সের সাথে অনেকে এই ফিল্টার কিনে লাগিয়ে রাখেন বছরের পর বছর। আর, ইউভি ফিল্টার আপনার লেন্সকে দিবে অতিরিক্ত একটি প্রটেকশন লেয়ার।রিমোট সাটার রিলিজ (Remote Shutter Release)
যদি আপনি কিছু লং এক্সপোজার ফটোগ্রাফি বা শ্যুটিং করার চেষ্টা করেন, তাহলে সাটার রিলিজের সময় যে কম্পন হয়, তা প্রতিরোধ করার জন্য আপনি অবশ্যই একটি রিমোট সাটার রিলিজ সাথে রাখতে চাইবেন। তাছাড়া, যদি আপনি সেল্ফ-পোর্ট্রেট ছবি তোলার চেষ্টা করেন, তবে এটি একটি প্রয়োজনীয় ক্যামেরা এক্সেসরিজ।এই লেখায় ব্যবহৃত সব ছবিই অ্যামাজন থেকে নেয়া হয়েছে।