সবজি ঘরে সংরক্ষণ করে রাখার ঘরোয়া পদ্ধতি !!!

সিম সংরক্ষণ করে রাখার পদ্ধতি



সিম সংরক্ষণ পদ্ধতি :

প্রথমে বাজার থেকে সিম এনে এগুলোকে আপনার পছন্দ অথবা প্রয়োজন অনুযায়ি কেটে ধুয়ে নিতে হবে। এখন একটি বড় পাতিলে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে। কতক্ষণ  জ্বাল দেওয়া পর যখন পানিতে বলক চলে আসবে তার ভিতর সামন্য লবন ও হলুদ গুড়া দিয়ে দিতে হবে।
এখন ধুয়ে রাখা সিম দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ৫-৭ মিনিটের জন্য। ২ মিনিট পর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে। ৫-৭ মিনিট পর যখন সিমগুলো হালকা সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন একটি ছ্রিদ যুক্ত জায়গায় ঢেলে নিতে হবে।
এখন ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতো হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি  ছোট ছোট পলিব্যাগ বা এয়ার টাইক বক্সে  ভরে রেখে দিতে পারবেন।  যখন রান্না করবেন তার ১ ঘন্টা আগে বের করে রাখবেন। তাহলে দেখবেন আগের সিমের মত হয়ে গেছে। এভাবে সিম সংরক্ষণ করে চার থেকে পাঁচ মাস রেখে দিতে পারেন।

ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি সংরক্ষণ পদ্ধতি:

প্রথমে প্রয়োজনমত/স্বাদমত ফুলকপি বড় বড় টুকরো করে কেটে নিতে হবে। কেটে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন, ফুলকপির ভিতরে কোন পোকা না থাকে।   এখন কেটে রাখা ফুলকপি গুলো বড় একটি বালতিতে নিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে আধা ঘন্টা। আধা ঘন্টা পর একটি ছিদ্র যুক্ত জায়গায় রেখে দিতে হবে যেন, ফুলকপির সব পানি জড়ে যায়


এখন চুলায় বড় একটি পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ  পানি দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে ততক্ষণ যতক্ষণ না পানি ফুটে আসে। পানি ফুটে আসলে ধুয়ে রাখা ফুলকপি গুলো দিয়ে দিতে হবে। ফুলকপি এমন ভাবে দিতে হবে যেন ফুলকপির উপরে পানি ভেসে থাকে। এখন একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।  ঢেকে দিয়ে বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখন একটি বলক আসবে তখন একটি  কাঠি দিয়ে নেড়ে আরও ১ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন ফুলকপি বেশি সিদ্ধ না হয়।
কারণ বেশি সিদ্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা খেতে/দেখতে ভালো লাগবে না। এখন সিদ্ধ করা ফুলকপিগুলো একটি ছিদ্র যুক্ত জায়গায় ডেলে দিতে হবে। এখন এই ফুলকপি গুলো সম্পর্ণ ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত রেখে দিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে পলিথিন ব্যাগ/ এয়ার টাইক বক্সে করে ডিপ ফ্রিজ রেখে দিতে পারবো ৭/৮ মাস। পরবর্তীতে রান্না করার ১ ঘন্টা আগে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নরমাল করে রান্না করলে দেখবেন শীতকালের কপির মত স্বাদ।


মটরশুঁটি ও শিমের বিচি



মটরশুঁটি প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। মটরশুঁটি বা শিমের বিচির খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। চুলোয় ফুটন্ত গরম পানিতে এক টেবিল চামচ চিনি দিয়ে তাতে মটরশুঁটি ঢেলে দিতে হবে। চিনিতে সবজির রং ভাপ দেওয়ার পরও একই রকম থাকবে। আবারও একইভাবে সেদ্ধ করে, ঠান্ডা পানিতে দিয়ে শুকিয়ে পাত্রে ভরে রেখে দিন


টমেটো



শীতকালীন টমেটো আমরা কমবেশি অনেকেই সস বা পিউরি করে সংরক্ষণ করি। টমেটো ভালোভাবে ধুয়ে, টিস্যু দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। চার ফালি করে কেটে চুলোয় জ্বাল কমিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ টমেটো চালনিতে চেলে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এই পিউরি ছোট ছোট বাটিতে করে ফ্রিজে রাখুন। এ ছাড়া ফালি করা টমেটো বড় প্লেটে নিয়ে, ডিপ ফ্রিজে রেখে বরফ করে পলিথিনে করেও রাখা যায়। ডাল বা অন্য কোনো তরকারিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

গাজর



গাজর পছন্দমতো টুকরো করে নিন। চুলায় বড় হাঁড়িতে পানি ফুটতে দিন। পানি ভালোভাবে ফুটে উঠলে গাজর দিয়ে মিনিট দুই পর নামিয়ে নিন। পানি ঝরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বরফ ঠান্ডা পানিতে গাজরগুলো দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। ভালোভাবে পানি ঝরে গেলে ফ্যানের বাতাসে ভালোমতো শুকিয়ে ফেলুন। এরপর পলিথিনে বা বায়ুরোধী বাটিতে ভরে ফ্রিজের ডিপে রেখে দিন।


কাঁচা মরিচ



কাঁচা মরিচ বাতাস ঢোকে না এমন কোনো পাত্র থাকলে তাতে রাখুন কাঁচা মরিচ। রাখার আগে পাত্রের নিচে হালকা নরম কাপড় বিছিয়ে দেবেন। মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখুন। এতে মরিচ সহজে পচে না। এবার মুখ বন্ধ পাত্রটি অন্য আর একটি নরম কাপড়ে ঢেকে নিন। বাড়ি থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলেও এইভাবে রেখে যেতে পারেন কাঁচা মরিচ। এরপর এই পাত্র ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতেও পারেন। আরও ভালো ফল পেতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেঁচিয়ে রাখুন কাঁচা মরিচ।কাঁচা মরিচ ভালো রাখার অন্যতম উপায় চেন টানা ছোট ব্যাগ। এতেও রাখতে পারেন কাঁচা মরিচ। এ ক্ষেত্রেও কাঁচা মরিচের বোট ছিঁড়ে নেবেন। এই ব্যাগ ফ্রিজে রাখুন।


Previous Post Next Post