প্রতিদিন ১০০-১৫০ টা চুল পড়া স্বাভাবিক কিন্তু তার থেকে বেশি হলেই মুস্কিল এবং চিন্তার বিষয়। এবং চুল পড়ছে এই চিন্তা মাথায় ঢুকলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আসলে যে কোনও স্ট্রেস বা চিন্তার থেকেই চুল উঠতে পারে। আজকের বর্তমান যুগের লাইফস্টাইল, জাঙ্ক ফুড সবই রয়েছে চুল ওঠার পেছনে এক লম্বা হাত। এই জন্যই ছেলেদের এখন ২০-২৫ বছরেই মাথা ফাঁকা হতে শুরু করে। আগে যেটা দেখা যেত চল্লিশ বছরেরও পরে! শুধু ছেলেরাই নয় মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই সমস্যা দেখা যায়। পিরিয়ডের সমস্যা থাকলেও কিন্তু মেয়েদের চুল উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবার আগে দরকার পিরিয়ডের সমস্যা মেটানো। মাঝে মাঝে তো ডিপ্রেশন এ চলে যান অনেকেই আর ভাবেন, কী করবেন? এ জন্য শুধু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলেই চলে না! ঘরোয়া টোটকা শুধু না সঠিক খাওয়া-দাওয়া এবং এক্সারসাইজ দরকার।
জেনে নেব চুল পড়ার কারন ও তার প্রতিকার বা ঘরোয়া কিছু টিপস যা টাক পড়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। সাথে এই পোস্টেই থাকছে চুল পড়া রোধ করার এক মহৌষধ যা সকলের কাজে লাগবেই ১০০ শতাংশ। তাই পুরো পোস্ট টি পড়ুন ভালো ভাবে।
চুল পড়ার
কারন কী
চুল কিন্তু এমনি এমনি পড়ে যায় না। এর পিছনে অজস্র কারণ এক সাথে কাজ করে। আসুন তাহলে জেনে নিই চুল পড়ার কারন গুলো কি কি-
১. বর্তমান যুগের লাইফস্টাইল, সাথে অত্যাধিক
জাঙ্ক ফুড খাওয়া।
২. শরীরের ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব ।
৩. চারপাশে অত্যাধিক
পরিবেশ ও জল দূষণ ।
৪. পিরিয়ডের সমস্যা জনিত কারনে।
৫. বাচ্চা প্রসব করার পর ।
৬. অত্যাধিক জ্বরে ভোগার পর।
৭. অত্যাধিক খুশকি থেকে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে চুল উঠতে পারে।
৮. অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে।
৯. অত্যাধিক হস্তমৈথূন
(Masturbation) করা ।
১০. রক্তে হিমোগ্লোবিন আর ফেরিটিনের মাত্রা কমে গেলেও চুল ঝরে পড়ে। অনেক সময় এলার্জির কারনেও চুল পড়তে থাকে।
১১. থাইরয়েডের হরমোন সমস্যার থেকেও চুল উঠতে পারে। চুলের বৃদ্ধির হারও হ্রাস পায়।
১২. হজমের সমস্যা থেকেও চুল ঝরে পড়ে । হজমের সমস্যার কারনে পাকস্থলীর
ক্যান্সারও হতে পারে।
১৪. বার্থ কন্ট্রোল পিলস এর ব্যাবহার । আপনি কি বার্থ কন্ট্রোল পিল বা ঔষধ ব্যাবহার করেন। তা হলে কিন্তু সাবধান ও সতর্ক থাকুন! কারণ এটাও চুল পড়ার জন্য একটা বড় কারণ।
১৫. যে সব মহিলার Polycystic Ovarian
Syndrome (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) রয়েছে, তাঁদের হরমোনাল সমস্যা হয়। যার ফলে মুখে আর শরীরে অত্যাধিক লোম দেখা যায়। তবে মাথার চুল পাতলা হয়ে যেতে থাকে ও চুল পড়তে থাকে।
১৬. পুষ্টিজনিত কারণ বা পুষ্টির অভাব ।
১৭. অত্যাধিক হেয়ার স্টাইলিং জিনিস ব্যাবহার করার কারনে। ইত্যাদি বিভিন্ন কারনেই চুল ঝরে যেতে পারে।
চুল পড়া আটকাতে কিছু জিনিষ অবশ্যই মেনে চলুন
১. ভেজা চুল ভুলেও আঁচড়াবেন না। কারন ভিজে চুলে, চুলের গোড়া নরম ও দূর্বল থাকে। তাই ভিজে চুল ভালো ভাবে শুকিয়ে নিন নাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. রেগুলার ট্রিমিং বা চুল কাটুন নিয়মিত ভাবে । চুলের যে অংশ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থাকে, সেটা হল চুলের ডগার দিকে। তাই কয়েক সপ্তাহ অন্তর নিয়ম করে চুল কাটুন বা ট্রিম করাতে থাকুন। তাতে চুল বাড়বেও আর স্প্লিট এন্ডস এর সমস্যাও থাকবে না।
৩. বাচ্চা হওয়ার পর বেশির ভাগ মেয়েদের চুল পড়ে । এক্ষেত্রে চুল পড়তে থাকলে প্রোটিন ( ডাল, সয়াবিন, ছানা) ফল, শাক-সব্জি, চুনোমাছ বেশি করে খেতে হবে।
৪. স্ট্রেস বা মানসিক চিন্তা কে কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া চলবে না। নজর রাখুন অত্যাধিক চিন্তার কবলে যেন না পড়েন । এতে শুধু চুল পড়ে যাওয়ায় নয় অনেক মারাত্বক রোগের শিকার হতে পারেন।
৫. অত্যাধিক ওজন যেন না বাড়ে । নিয়মিত কমবেশি এক্সারসাইজ করবেন, এতে শুধু চুল পড়ে যাওয়ায় রোধ নয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলে।
৬. চুলে কি আপনি মাঝে মধ্যেই নানা রকম কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করান? যেমন স্ট্রেটনিং, পার্মিং, কালারিং? তাহলে কিন্তু খুবই সাবধান। কারণ এ সবে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং চুল নষ্ট হওয়ার পিছনে দায়ী।
৭. পুষ্টি যুক্ত খাবার খান । পুষ্টি যুক্ত খাবার শুধু মাত্র আপনার শরীরের জন্যেই নয় বরং চুলের জন্যেও উপকারী।
৮. গরম জলে স্নান করলে সবারই আরাম হয় ঠিকই । কিন্তু গরম জলে স্নান করলে স্কিনের মতো চুলকেও ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। ফলে চুলের ন্যাচারাল অয়েলস নষ্ট হয়ে যায় এবং চুল ঝরে পড়ে। তাই গরম জলে স্নান করলেও অবশ্যই ঠান্ডা জলে চুল ধোয়ার চেস্টা করবেন।
৯. টাইট করে বা শক্তভাবে চুল বাঁধার অভ্যেস থাকলে তা কিন্তু এখনই বন্ধ করুন। কারণ টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় সব থেকে বেশি চাপ পড়ে এবং চুল উঠে যেতে সাহায্য করে।
১০. শ্যাম্পু করা, সবার আগে যেটা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। আপনাকে নিজের স্ক্যাল্পের ধরনটা বুঝতে হবে যে তৈলাক্ত নাকি শুস্ক স্ক্যাল্প। তাই সেটা বুঝে নিয়ে একটা ভাল শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। শ্যাম্পু সবসময় খবু ভালো ভাবে দেখে কিনবেন, যেন তাতে সালফেট, প্যারাবেন ও সিলিকনের মতো কেমিক্যালস না থাকে। এবং সপ্তাহে ৩ বার এর বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। আপনি যে শ্যাম্পুটি ব্যাবহার করছেন সেটিই নিয়মিত ব্যাবহার করবেন, বার বার পতিবর্তন করবেন না।
১১. নতুন কোনও ওষুধ খাওয়ার পর খুব বেশি চুল উঠলে সেই ডাক্তারকে সঙ্গে সঙ্গে জানান । প্রয়োজনে ওষুধ পরিবর্তন করতে বলুন । খুব বেশি চুল পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ লাগাতেও হবে বা খেতেও হতে পারে।
১২. খুস্কি থাকলে মাথায় বা চুলে খুব বেশি তেল ব্যাবহার করবেন না। প্রয়োজনে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন । ভালো মানের কন্ডিশনার আপনার চুলের গোড়াকে শক্ত ভাবে ধরে রাখবে। কারণ এর মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে ঠিক করে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে।
চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা বা টিপস
প্রচুর ট্রিটমেন্টস আর পার্লারে গিয়েও লাভ হয় না। এ বার চুল পড়া কম করার জন্য পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ না করে বাড়িতে বসেই চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করে দিন। নিম্নলিখিত এই টিপস গুলো মেনে চললে অবশ্যই চুল পড়া কম হবেই, তবে আপনার টাক পড়ার পর মেনে চললে হবে না। তাই সময় থাকতেই উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিন ।
১. পিঁয়াজের রস
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
২. নারকেল দুধ
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন ?
নারকেলের দুধ বাজারে যে কোন দোকানেই প্যাকেটে কিংবা গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্যাকেটজাত নারকেল দুধ ব্যবহার না করে খুব সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই বানিয়ে নিন নারকেলের দুধ। ()
৩. অয়েল ম্যাসাজ
তেল তো চুলের জন্য সবসময় দারুণ কাজ করে। তাই অয়েল মাসাজ চুলকে সতেজ করে ও চুলের রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক রাখে। আর চুলের গোড়াও মজবুত করে। তাই আপনার হাতের কাছে নারকেল তেল হালকা গরম করে নিন। এবং ভালভাবে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট এর
মতো। স্নান করার আগে করতেও পারেন বা ঘুমোতে যাওয়ার আগেও করতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন ভালো ফল পাবেন।
৪. বিটরুটের রস
বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন-C, B-6, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো প্রতিটাই আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং মজবুতির জন্য দারুণ ভাবে কাজ করে। পাশাপাশি এটা ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
চুলকে শক্তিশালী ও মজবুত করে গড়ে তোলার জন্য বিটের রস ব্যবহার করতে পারেন।
৫. অ্যালোভেরা
চুলের বিভিন্ন সমস্যা এবং চুল পড়ার এক মহৌষধ হলো এই অ্যালোভেরা। খুব ভালো মানের ঘরোয়া ওষুধ হল অ্যালোভেরা এবং যেটি বর্তমানে প্রায় সকল বাড়িতেই দেখা যায়। স্ক্যাল্পের চুলকানি, জ্বালা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
৬. গ্রিন টি
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
৭. নিম
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন ?
৯. ডিম
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
১০. আলুর রস
আলু ভালো করে বেটে রস বের করে নিন। এ বার তাতে ডিমের কুসুম, পরিমান মতো মধু ও পরিমান মতো জল মিশিয়ে নিন। চুলে মেখে ৩০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন যেন ভালোভাবে শুকিয়ে যায়। এর পর ভাল করে মাথা ধুয়ে নিন হালকা বা মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে। বেশি নয় সপ্তাহে ১ দিন করুন। দেখবেন চুল পড়া একেবারেই কমে গিয়েছে।
এছাড়া প্রচুর পরিমানে জল খান, সঠিক সময়ে ঘুমান, প্রচুর পরিমানে শাক-সব্জি খান, আমলকী, পালংশাক খান, টক দই খান, এবং প্রয়োজনে ভিটামিন-C, D, এবং E খান।
১১.মেথি
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
১৪.জবা ফুল
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কি কি উপাদান প্রয়োজন :
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
২০. মধু, অলিভ অয়েল, দারচিনি :
চুলের ভাঙ্গন রোধ করতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য এবং চুলে পুষ্টি জোগাতে তাকে উজ্জ্বল করে তুলতে অলিভ অয়েল এবং দারচিনি ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান গুলির মধ্যে থাকা প্রোটিন চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে এবং চুলকে আরো মসৃণ করে তোলে।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
২১. চুল পড়া কমাতে আলুর ব্যবহার :
চুলের ভাঙন রোধ করে চুলে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে অন্যতম উপাদান আলু। এটি চুলকে মসৃন ও উজ্জ্বল করে তোলে।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
চুল পড়া বন্ধ করার অন্যান্য উপায়গুলি হল :
চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমাদের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি হল :
১) চুল খুব টাইট করে বাঁধবেন না।
২) চুল মোছার সময় জোরে জোরে ঘষবেন না।
৩) ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
৪) চুলকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য কার্ল করা কিংবা হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।এগুলি চুলের আরো ক্ষতি করে।
৫) সে সমস্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা বন্ধ করুন।
৬) গরমকালে বাইরে বের হলে স্কার্ফ ব্যবহার করুনন, এটি ব্যবহারের ফলে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করা যাবে।
৭) ধুমপান বন্ধ করুন।
৮) আপনি যদি কেমোথেরাপির আওতায় থাকেন তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জিজ্ঞাসা করুন।
চুল পড়া রোধে খাদ্য তালিকায় কি কি রাখবেন
বর্তমানে অন্যান্য অসুস্থতার মধ্যেও চুল পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। যে কারণে চুল পড়ার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলেও নজর রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। কেননা বেশ কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলি আমাদের চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। আবার বেশ কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলি চুলের বৃদ্ধিকে রুখে দেয়। এক নজরে দেখে নিন কী খাবেন চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এবং কি খেলে চুল পড়া তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে :
১) খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম মাছ মাংস এগুলি রাখবেন।
২) এছাড়াও আমলকি, স্পিনাচ, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, বাদাম, স্যালমন মাছ, ইত্যাদি চুল পড়া রোধ করে।
৩) মটরশুটি, সোয়াবিন, জাতীয় খাদ্যগুলি খাদ্য তালিকায় রাখবেন। এটি শরীরের ভেতর থেকে মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
৪) এছাড়াও অতিরিক্ত ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলবেন। এটি চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
৫) সবকিছুর সাথে দিনে ৪ থেকে ৫ লিটার জল খেতে হবে যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখবে।
চুল পড়া বন্ধের মহৌষধ
প্রথম পদ্ধতি:-
- ৫-৬ চামচ বা আপনার পরিমান মতো নারিকেল তেল।
- ৫টি ভিটামিন E ক্যাপসুল (Evion 400 এছাড়া অন্য কোন নামের ব্যাবহার করতেও পারেন)
- ২ চামচ Castor Oil
- ১/২ চামচ শুকনো কালো জিরার গুঁড়ো।
- ১/২ চামচ শুকনো মেথি গুঁড়ো।
- ৫-৬ চামচ অ্যালোভেরা রস বা জেলি
এগুলো সবকিছু ভালভাবে একটা পরিস্কার পাত্রে মিশিয়ে নিন। পাত্রটি অবশ্যই যেন ঢাকনা যুক্ত হয়, এবং মিশ্রন টি ২ দিন রেখে দিন ঢাকা দিয়ে। ২দিন পর মিশ্রন টি ব্যাবহার করতে শুরু করুন।
ব্যাবহার পদ্ধতি:
রাত্রিতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিশ্রন টি ভালো করে চুলের গড়ায় লাগিয়ে নিন। এবং ৮-১০ মিনিট ধরে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এবং সকালে উঠে কোনো হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। মিশ্রন টি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করুন অবশ্যই ১০০ শতাংশ ভালো ফল পাবেন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
- ৫০০ গ্রাম/ ml নারিকেল তেল।
- ৫০ টী ভিটামিন E ক্যাপসুল। (Evion
-400/600)
- মেথি গুড়ো ২০০-২৫০ গ্রাম।
- কারি-পাতা বাটা ২০০-২৫০ গ্রাম।
- ছোট লাল পেঁয়াজ (ছাঁচি পেঁয়াজ) ১-১.৫ কেজি।
একটি পরিস্কার পাত্রে কম আঁচে পেঁয়াজ গুলো ভালো করে নারকেল তেল এ সেদ্ধ করে নিন। হাল্কা সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর মেথি গুড়ো ও কারি পাতা বাটা যোগ করুন। এরপর ভালো ভাবে সমস্ত মিশ্রন কম আঁচে ৪৫-৫০ মিনিট ফুটিয়ে নিন, মাঝে মাঝে হাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। যখন দেখবেন মিশ্রন টি ভালভাবে মিশে গেছে তখন নামিয়ে নিন, এবং ঠান্ডা হতে দিন। হাল্কা গরম থাকাকালিন ভিটামিন ক্যাপসুল গুলো ফাটিয়ে মিশ্রনের সাথে মিশিয়ে দিন (বেশি গরম যেন না থাকে)। ৫-১০ মিনিট হাতা দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে ঠান্ডা হওয়ার পর ১২-১৫ ঘন্টা মিশ্রন টি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এরপর ছাঁকনি বা পরিস্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে, কাঁচের পাত্রে ছেঁকে নিন। ভিটামিন ক্যাপসুল এর ছাল গুলো ভালভাবে না মিশলে সেগুলো আলাদা করে নিন। ব্যাস আপনার তেল রেডি। ক্যাপসুল এর ছাল গুলো তেলে মিশিয়ে ১-২ দিন রোদ্রে রেখে দিন। তারপর ব্যাবহার করুন।
ব্যাবহার পদ্ধতি:
রাত্রিতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিশ্রন টি ভালো করে চুলের গড়ায় লাগিয়ে নিন। এবং ৮-১০ মিনিট ধরে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এবং সকালে উঠে কোনো হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। মিশ্রন টি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করুন অবশ্যই ১০০ শতাংশ ভালো ফল পাবেন।
বি: দ্র:
যাদের ঠান্ডা লেগে যায় খুব তাড়াতাড়ি তারা এই মিশ্রন টি রাত্রিতে লাগাবেন না। তারা সকালে লাগিয়ে নিন এবং ৪-৫ ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
এই মহৌষধ টি সম্পূর্ন নিরাপদ এবং কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সকলেই ব্যাবহার করতে পারেন। কোন রকম সন্দেহ থাকলে যেকোনো ডার্মাটলজিস্ট এর কাছে জেনে নিতে পারেন।