ঝলমলে চুলের সাথে ঝকঝকে ত্বক একেবারে বিনামূল্যে ম্যাজিক রেসিপি !!!!

 হলুদের ড্রিংক কিভাবে তৈরি করবেন !!



উপকরণ 

  • এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো (সম্ভব হলে ওরগ্যানিক বা জৈব হলুদের ব্যবহার করুন)
  • সামান্য মধু স্বাদের জন্য (মধুর বদলে চিনি দেওয়া যায় তবে না দেওয়াই ভালো)
  • এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল (একদমই হালকা গরম)

যেভাবে বানাবেন

  • এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল নিয়ে তাতে এক চিমটে হলুদ আর একেবারে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন ভালো করে।
  • রেডি আপনার ম্যাজিক ড্রিঙ্ক।
  • রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস করে এই ড্রিঙ্ক /পান করুন।
  • একমাস নিয়মিত পান করুন আর পান ঝলমলে চুলের সাথে ঝকঝকে ত্বক একেবারে বিনামূল্যে।
  • প্রথম প্রথম খেতে হয়তো একটু বিস্বাদ লাগতে পারে। তাই বলে খাওয়া ছেড়ে দেবেন না।
  • দু দিন খাওয়ার পর দেখবেন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। খেতে আর সমস্যা হবে না।
  • এর চেয়ে সহজ আর কি কোনো পানীয় হতে পারে যা ত্বক ও চুলের যত্ন নেবে একাধারে

উপকারিতা-

জয়েন্টের ব্যথা দূর করে:
জয়েন্টে ব্যথা হওয়া এখন নারীদের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ একটি সমস্যা। হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে যা আর্থারাইটিস পেইন সারাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদের যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা শরীরের জন্য অনেক ভালো। মোট কথা শরীরকে অসুখ থেকে দূরে রাখে হলুদ পানি।

ওজন কমাতে:
হলুদ পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট চার্টে আজই হলুদ যোগ করুন। হলুদ পানি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে:
হলুদে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের জন্য ভালো। হলুদ পানি ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে যার জন্য চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে। হলুদ আপনার স্কিনকে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়ী রাখে।

ডিটক্সিফিকেশন:
আমাদের শরীরে অনেক সময় ক্ষতিকর টক্সিন জমে শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। এজন্য ডিটক্সিফাই জরুরি। এক গ্লাস হলুদ পানি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।

হলুদ পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম:
একটি পাত্রে এক কাপ পানি নিয়ে ফুটান। এর মধ্যে দুই টুকরো হলুদ দিয়ে আরও ১/২ মিনিট ফুটান। এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। প্রয়োজনে আপনি এর সাথে মধু যোগ করতে পারেন।


বার্ধক্যে আলঝেইমার ডিজিজ প্রতিরোধে হলুদ
ধারণা করা হয়, মস্তিষ্কের প্রদাহের কারণে বৃদ্ধ বয়সে অনেকের আলঝেইমার রোগ হয়। এ রোগে বোধশক্তি কমে যায়। হলুদের প্রদাহবিরোধী গুণের কারণে মস্তিষ্কে সৃষ্ট প্লাক ভেঙে গিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত হয়। তাই এই রোগ দেরিতে দেখা দেয় বা অনেকাংশে প্রতিহত হয়।

সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্রহণ করতে হয়। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। হলুদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই। তাই মাত্রাতিরিক্ত হলুদ গ্রহণের কুফলও জেনে রাখুন।
১. হলুদ পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয়, ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে উপকার হলেও কারও ক্ষেত্রে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
২. বিশুদ্ধকরণ গুণের কারণে হলুদ রক্তকে তরল রেখে রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্তের প্রবাহকে সহজ করে। যাঁদের রক্তচাপ কম, তাঁদের আলাদা করে বেশি মাত্রায় হলুদ না খাওয়াই ভালো। যাঁরা নিয়মিতভাবে রক্ত তরলকারী ওষুধ সেবন করে আসছেন, তাঁদেরও আলাদা করে ওষুধ আকারে হলুদ খাওয়া ঠিক হবে না।
বিভিন্নভাবে হলুদ খাওয়া ও ব্যবহার করা যায়।
১. গুঁড়া হলুদ রান্নায় ব্যবহার করে,
২. ক্যাপসুল আকারে,
৩. কাঁচা হলুদ টুকরা করে কেটে আখের গুড় দিয়ে মেখে খাওয়া যায়,
৪. রূপচর্চায় বাটা হলুদ ব্যবহার করা যায়।

হলুদের সর্বোচ্চ উপকার পাওয়ার জন্য আপনি নিয়মিত ‘হলুদ চা’ পান করতে পারেন।

যেভাবে হলুদ চা তৈরি করবেন

উপকরণ
১ কাপ পানি, আধা চা-চামচ হলুদগুঁড়া, ১ চা-চামচ মধু (স্বাদের জন্য)।

প্রস্তুত প্রণালি

১ কাপ হালকা গরম পানিতে পরিমাণমতো হলুদগুঁড়া ও মধু ভালোমতো মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে হলুদ চা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই চা পান করার অভ্যাস করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যাবে।

গুঁড়া হলুদ বাজার থেকে না কিনে বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব। প্রথমে তাজা রসাল কিছু হলুদ কিনে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর হলুদ কন্দ চাক চাক করে কেটে ভালো ভাবে রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিলেই হলো। যদি মিহি গুঁড়া পেতে চান তবে পাতলা চালনি দিয়ে চেলে নিতে পারেন।

এত যার উপকার সেই হলুদকে সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করলে আপনি যে সুস্থ, সুন্দর নীরোগ জীবনের অধিকারী হবেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যায়। ক্ষতি কী! দেখুন না চেষ্টা করে।




Previous Post Next Post