• পেটে ব্যথা, পেট ফুলে থাকা বা বদহজম সারাতে টকদই খান৷ এর মধ্যে উপস্থিত প্রোবায়োটিক আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
• মাসলের ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, মাথায় ব্যথা? কয়েকটি পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খান৷ হজমশক্তি বাড়বে, ধীরে ধীরে ব্যথার বোধটা কমে যাবে।
• হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন ক্রনিক ব্যথা সারাতে কার্যকর৷ পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বকে চুলকানি, জ্বালাভাব কমাতে হলুদ আর অ্যালোভেরা জেল মিলিয়ে লাগালে আরাম পাবেন।
• আর্থারাইটিস, পেটের ব্যথা, বুকের ব্যথা আর পিরিয়ডের ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে আদা৷ মাইগ্রেনের ব্যথায়ও আদা চা পান করুন। এছাড়া কাশি, গলা ব্যথা সারাতেও কাজে দেয় আদা।
• কানে ব্যথা বা দাঁতে ব্যথায় কাজে দেয় রসুন৷ কাঁচা রসুন খাওয়া সবচেয়ে ভালো। তবে এভাবে খেতে না পারলে রান্নায় রসুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
এক গবেষণা থেকে জানা যায়, কফি পানে ব্যায়ামজনিত ব্যথা দূর হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন পান করলে মাথাব্যথা, মাইগ্রেইনের ব্যথা অনেক কমে, তবে সেটা দীর্ঘসময়ের জন্যে নয়।
শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ওটস। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক রয়েছে। দিনে এক কাপ আঙ্গুর খেলে পৃষ্ঠশূল উপশম হয়। আঙুরের রস বা আঙুর ধমনীর আড়ষ্টতা দূর করে।
চেরি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্যথা সারাতে সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। জ্বালাপোড়া থেকে সৃষ্টি ব্যথা ডার্ক চেরি খেলে দূর হয়। তবে শুধু চেরিই নয়; ব্যথা প্রতিরোধী হিসেবে অন্যান্য কালো ফলও উপকারী। গ্যাস্টিকের ব্যথা ও অন্যান্য জ্বালাপোড়ার প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ব্যথা ২০টি চেরি ফল খেলেই অনেকটা কমে যাবে।
পেঁপেতে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যেটা প্রদাহ দূরীকরণে সাহায্য করে। সার্জারির ব্যথা কমাতেও পেঁপে জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরের অন্য ব্যথা কমাতেও কাজ করে।
লাল মরিচে ক্যাপসাইসিন নামের একটি পদার্থ রয়েছে যেটি ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকর।
দইয়ে মাইক্রো-ফ্লোরা নামে একটি উপাদান আছে, যা প্রদাহ এবং বদহজমের কারণে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
তিল বীজও ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা মাথা ব্যথা ও মাংস পেশীর ব্যথা অনায়াসে দূর করতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতায় মেনথল নামে একটি উপাদান আছে, যা ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, এর তেল পায়ের কজ্বি ও গোড়ালীতে মালিশে ব্যথা উপশম হয়। এমনকি মাথা ব্যথায় পুদিনা পাতা কপালে ঘষলেও ব্যথা উপশম হয়।
অ্যালোভেরা জেল পোড়ার ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এর জুসও আলসারের ব্যথা উপশমে কার্যকরী। দিনে ২বার অ্যালোভেরা পানে শুধুমাত্র এর উপসর্গই উপশম করে না; নিরাময়ের কাজও দ্রুত শেষ করে।
এছাড়া টমেটো, অলিভ অয়েল, সবুজ শাক, বিশেষ করে জামের মতো ফল, আনারস, গ্রিন টি, কমলা, আখরোট বা কাঠবাদাম খাবারগুলো নিয়মিত খান। এগুলো ব্যথা দূর করে। পরিবর্তনটা নিজেই লক্ষ করে দেখুন।
প্রক্রিয়াজাত সব ধরনের খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। ওজন বাড়লে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর চাপ বাড়ে, ফলে ব্যথাও বাড়ে। তাই বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে বুঝে শুনে খান, ভালো এবং সুস্থ থাকুন।